চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ভুয়া আইনজীবীর নামে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রতারণাকালে গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ মে, ২০১৯ | ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত শিক্ষানবীশ আইনজীবী শারমিন আক্তার জেসি’র সাহায্যের অনুরোধ জানিয়ে পোস্টার-বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে প্রতারণার সময় ধরা পড়লেন নাছির উদ্দিন নামে প্রতারক। গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
আটক মো. নাছির উদ্দিন (৪২) ফটিকছড়ির বখতপুর ইউনিয়নের আবিদ বাড়ির মরহুম আব্দুল হকের ছেলে। বর্তমানে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকার ছোটপুল আবাসিক এলাকার ফেরদৌস ভিলায় থাকেন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের নামে চট্টগ্রাম আদালতপাড়ায় পোস্টার, লিফলেট ও বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়। শিক্ষানবিশ আইনজীবী শারমিন

আকতার জেসির চিকিৎসার সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে এই পোস্টার, লিফলেট লাগানো হয়। এতে বিকাশ, রকেট ও ব্যাংক একাউন্ট দেয়া হয়। আদালত পাড়ার আইনজীবী ও জনগণকে ধোঁকা দিয়ে জমা হওয়া অর্থ হাতিয়ে নেয় নাছির। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর প্রতারণার কথা স্বীকার করেন নাছির।
লিফলেটে উল্লেখ করেছেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শারমিন আক্তার একজন আইনজীবী। আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে চিকিৎসা করতে পারছেন না। আইনজীবীদের সহানুভূতি পেতে আদালত ভবনের বিভিন্ন দেয়াল ও আইনজীবীদের চেম্বারে চেম্বারে সাঁটানো হয়েছে এসব পোস্টার, লিফলেট। এতে বিকাশ, রকেট, নগদ এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের অনলাইন একাউন্ট নম্বর উল্লেখ রয়েছে। আদালত ভবনে সাঁটানো পোস্টার, লিফলেটে একজন আইনজীবীর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে আইনজীবী সমিতির। এছাড়াও শারমিন আকতার জেসিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন আইনজীরীরা। দেখা যায়, এই নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কোন ছাত্রী নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ নামেও কোন সংগঠন নেই। এতে আইনজীবীদের কৌতূহল আরও বেড়ে যায়। একজন আইনজীবী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সম্মান ক্ষুণœ এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিকে অবহিত করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশের তদন্তে নাছির উদ্দিনের প্রতারণার বিষয়টি উঠে আসে।
অভিযানে ছিলেন কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান, এসআই এম তারিকুজ্জামান, এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট