চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ধুনীরপুল সড়কের সুফল মিলছে না

১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ মে, ২০১৯ | ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির নিচে ডুবে যাওয়াই ছিল সড়কটি নিত্য দিনের দৃশ্য। শুধু বর্ষাকালেই নয়। বার মাসই জোয়ার-ভাটায় ডুবে যেত এ সড়কটি। এমন নোংরা পানি আর খানা-খন্দে ভরা সড়কের উপর দিয়েই দৈনিক যাতায়াত করতো চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দারা। এভাবে দীর্ঘদিন ভোগান্তির পরেই ২০১৮ সালের ১ মার্চ ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বাজেটে নগরীর চকবাজারের ধুনীরপুল ও সংযোগ সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। দীর্ঘদিন কাজ চলার পর গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে পুলটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বর্তমানে ব্রিজটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে পুলটি সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ এখনো বাকি আছে। কিন্তু এরইমধ্যে সড়কটির দখল করে বসে গেছে কিছু ভাসমান দোকান ও টমটম চালক। সরেজমিনে দেখা যায় ব্রিজের একপাশ পুরোটাই টমটম চালক, ফল ও সবজি বিক্রেতার দখলে। অন্য পাশ কিছু অংশ দখল করে আছে ভ্যান গাড়ি। যার কারণে পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন না। দেখা যায় টমটম চালক ও দোকানীদের কারণে পুলের উপর সবসময় যানজট লেগে থাকে। ভাসমান দোকানীরা বলেন, এখানে বসতে নিয়মিত চাঁদা দিই আমরা। এ বিষয় কথা হয় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সুফিয়ান খন্দকারের সাথে। তিনি বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই এলাকাটি পানির নিচে ডুবে যেত। এখন পুলটি উচু করায় এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। নগরীর জনবহুল এ এলাকায় চাকরিজীবী, অফিস স্কুল কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রী ও গার্মেন্টন্স শ্রমিকসহ বসবাস করে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। পুলটির সংস্কার কাজ হওয়া এসকল মানুষের সুবিধা হয়েছে।
ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্বে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেলিম এন্ড ব্রাদার্র্স এ টি কনস্ট্র্রাকশনের (জেবি) জাহাঙ্গীর হাছান বলেন, পুল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন আমরা পুলটি সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ শুরু করবো। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হতেই পুলটি দখল করে দোকান নিয়ে বসেছে ফুটপাত দোকানী ও টমটম স্ট্যান্ড। যাদের কারণের সাধারণের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ব্রিজ, এপ্রোচ রোড এবং সি সি ড্রেন নির্মাণের কাজ শেষ করেছি। বিদ্যুৎ ওয়াসা কাজ এখনো শেষ হয়নি। ৩৩ হাজার কে বি বিদ্যুৎতের লাইনটির কাজ সল্প সময়ের মধ্যে শুরু করবো। ১৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নামধারী ব্যক্তিরা এখানে ভাসমান দোকানীদের থেকে চাঁদার বিনিময়ে গাড়ি স্ট্যান্ড বসতে দিয়েছে। এনিয়ে আমরা মিটিংয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছি। কয়েক দিন উঠে গেলেও পরে আবার বসে পড়ে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট