চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ইসি’র নির্দেশনার পরও সরেনি পোস্টার-ব্যানার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ আংশিক) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে সরকারি দলের আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আসনটি শূন্য ঘোষণার পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামে পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নামে সাঁটানো পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড

সরিয়ে নেওয়ার বাধ্যবাকতা রয়েছে। কিন্তু গতকাল রাত পর্যন্ত দেয়া যায় এখনো পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড।
গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড না সরানোর জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর কোন পোস্টার থাকার কথা নয়। নামেনি কেন। প্রতীক বরাদ্দের পর পোস্টার লাগানো হবে। প্রচারণা চালানো যাবে।’ এমন প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘পোস্টার, ব্যানার নামানোর জন্য চিঠি দিয়েছে। মৌখিকভাবে অবহিত করেছি।’
প্রতি-উত্তরে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘চিঠি দিয়ে দায় সারা হয়েছে। ভিভিট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন পোস্টার হবে না।’

রিটার্নিং অফিসারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সাহস নিয়ে কাজ করতে হবে। চাকরি তো যাবে না, সর্বোচ্চ বদলি হবে। সাহসের সঙ্গে সঠিক কাজ করলে মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পাবে। আমরা সেই কাজটি করব।’
নির্বাচন কমিশনার সকালে পোস্টার, ব্যানার সরানোর নির্দেশনা দিলেও তা মানা হয়নি। সন্ধ্যা ও রাতে বোয়ালখালী উপজেলা এবং নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, ব্যানার সাঁটানো দেখা যায়। তবে বোয়ালখালী উপজেলা সদরে কয়েকটি বড় ব্যানার সরানো হয়েছে।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় উল্লেখ ছিল, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজ খরচে তা অপসারণ করতে হবে। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা ছিল।

প্রতীক বরাদ্দের আগে পোস্টার, ব্যানার ছাড়াও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার বিষয়েও আইনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কয়েকজন প্রার্থী ইতিমধ্যেই নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। বিভিন্ন স্থানে নিজেদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী বৈঠক করে ভোট চাওয়া হচ্ছে। ডামাডোল বাজিয়ে কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে কয়েক জন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এ বিষয়ে বলেন, ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখবেন। তাহলে কেউ কথা বলবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ভিজিট করে প্রকৃত তথ্য জানানোর নির্দেশনা দেন। কারণ পূর্ব অভিজ্ঞতা কিছু কিছু জায়গায় ভালো না। কোন অঘটনের সুযোগ কাউকে দেওয়া যাবে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট