চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বছর ধরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেই, ২ সহকারী ডেপুটেশনে পটিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা হ পটিয়া

১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ

গত ৩ মাসে পটিয়ায় লাম্পি স্কিন রোগে প্রায় ৫ শ’ গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে। এতে ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। পটিয়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেই ১ বছর ধরে। ২ সহকারী কর্মকর্তা ডেপুটেশনে চট্টগ্রামে রয়েছেন। ফলে এলাকায় পশু চিকিৎসা কার্যত্রুম ব্যাহত হচ্ছে। অবিলম্বে পটিয়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকতা নিয়োগসহ পর্যাপ্ত পরিমানে লাম্পি স্কিন রোগের ভ্যাকসিন প্রদানের দাবি জানিয়েছেন খামারিরা। জানা যায়, পটিয়া

উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ছোট-বড় প্রায় ৬ শত গরু মহিষের খামার রয়েছে। গত ৩ মাসে উপজেলার প্রায় ৫ শ’ গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতে অন্তত ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। পটিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের এবং এলাকার গ্রাম্যচিকিৎসদের সহযোগিতায় আক্রান্ত কিছু গরু ভালো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উজিরপুর ডেইরি ফার্মের মালিক হারুনুর রশীদ জানান- তার খামারে দেশি-বিদেশিসহ ৩০টি গরু রয়েছে। সম্প্রতি লাম্পি স্কিন রোগে ২০টি গরু আক্রান্ত হয়। এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে তারা ভালো হলেও একটি গরু মারা যায়। পটিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো লোকজন চিকিৎসা দেয়নি। হিলচিয়া গ্রামের খামারি গোলাম কিবরিয়া জানান- তার খামারে ৮/১০টি গরু রয়েছে। ৩/৪টি গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়। পটিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজনের চিকিৎসাসেবায় গরুগুলো ভালো হয়।
বরলিয়া গ্রামের খামারি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, তার খামারে প্রায় ১০টি গরু রয়েছে, এতে লাম্পি স্কিন রোগে ২টি গরু আক্রান্ত হয়। পটিয়া পশু হাসপাতালের লোকজন এসে ভ্যাকসিন ও এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিলে গরুগুলো ভালো হয়।
এ ব্যাপারে পটিয়া ডেইরি খামার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল জানান, তার খামারে ৯০টি দেশি-বিদেশি গরু রয়েছে। লাম্পি স্কিন রোগে ৫টি গরু আক্রান্ত হয়। এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে পটিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসদের সহযোগিতায় আক্রান্ত গরুগুলো ভালো হয়। ইতিমধ্যে সমিতির মালিক ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় চাহিদামতো ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না। পটিয়ার পশুসম্পদ রক্ষার্থে পটিয়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও শূন্যপদে নিয়োগ দিয়ে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য দাবি জানানো হয়।

এ ব্যাপারে পটিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সুব্রত সরকার জানান পটিয়া অফিসের প্রাণী সম্পদ কমকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর ১ বছর পৃর্বে বদলী হলেও তার স্থলে কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ায় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্র্তা ও অফিস সহায়ক দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম অফিসে প্রেষণে রয়ছেন। ফলে অফিসের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
পটিয়ায় প্রায় ৫ শতাধিক ছোটবড় খামারি রয়েছেন। উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ১৭ জন সিল কর্মচারী রয়েছেন। তারা প্রতি ইউনিয়নে গরু-ছাগলের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাসহ খামারিদের পশুপালনের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট