চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চাঁদা না দেওয়ার জের চবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা হ চবি

১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চাঁদা না দেওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একটি দোকানে ভাঙচুর ও মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন সংলগ্ন মদিনা কুলিং কর্ণারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সকলেই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বাংলার মুখের কর্মী বলে জানা যায়। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে বাংলার মুখ। মারধরের শিকার দোকানের মালিক মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বর্তমানে হাটহাজারী মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা যায়।
দোকানের মালিক সেলিমের বড় ভাই মোহাম্মদ হালিম র্প্বূকোণকে বলেন, ‘রাত সাড়ে দশটার দিকে বাংলার মুখ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী দোকানে এসে এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার ভাই সেলিম চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সাথে বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে তাদের দাবি এক হাজার টাকা থেকে ৫০০ টাকায় নেমে আসে। সেলিম তাও দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে মারধর ও দোকান ভাঙচুর শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘মারধরের এক পর্যায়ে গুরুতর আহতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত পুলিশ সেলিমকে উদ্ধার করে হাটহাজারী থানায় নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান ও বিশ^বিদ্যালয় ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেনের সহায়তায় তাকে হাটহাজারী মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।’
তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলার মুখ গ্রুপের নেতা আমীর সোহেল বলেন, ‘ঐদিন রাতে জুনিয়ররা নাস্তা করতে গেলে দোকানদার তাদেরকে সকালের বাসি খাবার দেয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে দোকানদার জুনিয়রদের সাথে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ দোকানদারকে নিয়ে যায়। এ সময় ক্যাম্পাসে খাবারের মান উন্নয়নের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। ভাঙচুরকারী শিক্ষার্থীদেরকে প্রক্টর অফিসে এসে যোগাযোগ করতে বলেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট