চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মহাসংকটে অচলাবস্থা

আনোয়ারা

নিজস্ব সংবাদদাতা হ আনোয়ারা

১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:১০ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস অরক্ষিত। অফিসের চারপাশ আবর্জনায় ভরে থাকে। সন্ধ্যায় অফিসের সামনে আড্ডা বসে বখাটেদের। এদিকে, অফিসে চাহিদামত ঔষধ সরবরাহ নেই। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, টিকা ও ডাক্তারের অভাবের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে গবাদি পশুর চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। ফলে খামারিদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে কারো তেমন কোন মাথা ব্যথাও নেই।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকেও কোন ধরনের উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আনোয়ারা উপজেলায় ২শ মত খামার রয়েছে। তৎমধ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তালিকায় ৬১টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ডেইরি খামারে স্থানীয়দের আগ্রহ থাকলেও নানা কারণে হতাশায় ভুগছেন তারা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ১১টি পদ রয়েছে। তৎমধ্যে ৯ জন কর্মরত আছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই। ঔষধ সরবরাহ অপ্রতুল। বরাদ্দও কম। কৃমি ঔষধ, হজমি, ভিটামিনসহ জরুরি প্রয়োজনীয় ইনজেকশনও পাওয়া যায় না। সরবরাহকৃত ট্যাবলেটের গুণাগুণও কম বলে ভুক্তভোগীরা জানান। খামারিরা কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে সরকারি এন.এ.টি.পি ১১ জন সীল নিযুক্ত আছেন। তারা সরকারি ভাতাও পান। কিন্তু তাদের চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি নেই। বর্তমানে ভুয়া চিকিৎসক সেজে কাজ করায় খামারিদের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে অনেক সময় গরু, ছাগল ও মহিষ মারা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে

জানা গেছে প্রাণিসম্পদ অফিসে গড়ে প্রতিদিন ২০/২৫টি গরু, মহিষ, ছাগল, মুরগি ও কবুতর চিকিৎসা নিচ্ছে। এদিকে ব্র্যাক এ.আই কর্মী নিয়োগ আছে ৫/৬ জন। প্রতিদিন তারাও বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা কার্যক্রম করছেন। অথচ তাদের কোন চিকিৎসা দেয়ার নিয়ম নেই। ফলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এব্যাপারে সঞ্জয় বড়–য়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রাণিসম্পদ অফিস পুরোই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। নাইট গার্ড নেই। অফিসে দামী যন্ত্রপাতি রয়েছে। নাইট গার্ডের অভাবে অফিস চুরিও হয়েছিল। চোরেরা সিলিং ফ্যান নিয়ে গিয়েছিল। ঝাড়–দার না থাকায় পরিষ্কার পরিছন্নতা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ থেকে টাকা দিয়ে বাহিরের লোক নিয়োগ করে মাঝে মধ্যে পরিষ্কার করে থাকেন। সন্ধ্যায় অফিসের সামনে বখাটের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। অফিস সূত্রে প্রকাশ নিয়মিত প্রশিক্ষণ হচ্ছে। সিআইজি, এন.এ.টি.পি সমিতির যথাযথ প্রশিক্ষণে খামারিরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে। আদর্শ খামারের মালিক মো. তানভীর জানান, অফিসে গবাদি পশুর টিকা নেই। অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব। হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা চলছে। খাদ্যের দাম উচ্চ মূল্য হওয়ায় খামারিরা বেকায়দায় পড়েছে। সুমন নামের এক খামারি জানান, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে টেলিফোন করলে ডাক্তার পাওয়া যায় না। প্রাণিসম্পদ অফিসের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন খামারিদের উন্নত চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। অফিসের পক্ষ থেকে কোন ধরনের গাফিলতি নেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেনের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট