চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শীতকালীন সবজি উৎপাদন দিগন্ত জুড়ে সবুজের সমাহার

ফটিকছড়ি

এস.এম. মোরশেদ মুন্না, নাজিরহাট

১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি উপজেলায় শীতকালীন সবজি উৎপাদনে বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ১৬০ মেট্টিক টন। পরিবেশ বিপর্যয়সহ সেচের অভাবে এখনো ফটিকছড়ি উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। কৃষি সংশ্লিষ্টরা অনাবাদি জমিগুলো আবাদের আওতায় আনতে চেষ্টা করছেন বলে জানান। সেসাথে উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদী, ফেনী নদী, ধুরং, সর্তা, লেলাং খাল, বারমাসিয়া, গজারিয়া, খালের চরে দেখার মতো রবি ফসলের চাষ হয়েছে। তবে, হালদা আর ধুরং নদী চরের প্রস্থতা বেশি হওয়াই রবি ফসলের চাষাবাদে দিগন্ত জুড়ে যেন সবুজের সমাহার ঘটেছে। উল্লেখিত নদী-খালের চরে রবি ফসল লাগিয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। পাইকারি আর খুচরা বাজারে সবজির দাম ভাল ছিল বলে অন্য বছরের চেয়ে চলতি বছরে কৃষকরা আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছে। যার কারণে চরে রবি ফসল চাষাবাদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। চরে সবজি চাষ করে অনেক কৃষক এখন স্বাবলম্বী।

জানা যায়, বেশিরভাগ এলাকার কৃষকরা রবি মৌসুমের ভাল ফলন দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ধানি জমির ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে সক্ষম হয়েছে। চলতি বছর অপরাপর সবজির পাশাপাশি ফটিকছড়িতে মুলা, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউয়ের উৎপাদন ছিল সবচেয়ে বেশি।
জানা যায়, উপজেলার কাঞ্চননগরে প্রায় ১৮০ শত হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। ওই এলাকায় বেশিরভাগই বেগুন আর মুলার চাষ হয়। আগে আরো বেশি জমিতে চাষাবাদ হতো বলে স্থানীয় জানিয়েছেন। প্রতিবছর গাউসুল আজম মাইজভা-ারীর ওরশের ১০ মাঘের মেলার বৃহৎ আকৃতির মুলা আসে ওই কাঞ্চননগর হতে। যার ওজন ১০ কেজি পর্যন্ত হয় বলে জানা যায়। কাঞ্চুরহাট বাজারের কৃষক মোহাম্মদ নোমান বলেন, আমি ৪ হেক্টর জমিতে বেগুন ও ২ হেক্টর জমিতে অন্যান্য সবজির চাষ করেছি। তিনি এই পর্যন্ত তার জমি থেকে ৪-৫ লক্ষ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট থেকে কাঞ্চুরহাট বাজারে আসা সবজির পাইকার ব্যবসায়ী ইদ্রিচ ও বেলাল জানান, আমরা এই মৌসুমে প্রতিদিন এই বাজারে আসি। এখান থেকে সবজি কিনে আমরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন সবজি বাজারে সরবরাহ করে থাকি।

উপজেলা কৃষি অফিসার লিটন দেবনাথ জানান, রবি ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের কঠোর পরিশ্রম আর আমাদের সহযোগিতা, পরামর্শ তারা যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ছিল বলে ফলন ভাল হয়েছে। সেচের অভাব আর ইটভাটার কারণে পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে রবি মৌসুমে ফটিকছড়ির হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি। আমরা জমিগুলো আবাদের আওতায় আনতে চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট