চট্টগ্রাম শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩

১৫ মে, ২০১৯ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

নাগরিক উদ্যোগের ১৪ দফা

ঈদের আগেই শেষ হবে পিসি ও এক্সেস রোডের কার্পেটিং : মেয়র

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ঈদের আগেই পোর্ট কানেকটিং রোডের দক্ষিণাংশ এবং নিমতলা থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত রাস্তার পূর্বাংশে কার্পেটিং এর কাজ শেষ হবে। গত সোমবার দুপুরে নগর ভবনে ‘নাগরিক উদ্যোগ’র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি। সংগঠনটির আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন সভায় আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এবং নিমতালা বিশ^রোডের অসমাপ্ত উন্নয়নকাজ দ্রত শেষ করাসহ ১৪টি দাবি তুলে ধরেন। এসময় মেয়র দাবিগুলো পূরণে আশ^স্ত করেন।
১৪ দফা দাবি : নাগরিক উদ্যোগের দাবিগুলো হচ্ছে- নগরীর দুঃখ বলে খ্যাত আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এবং এবং নিমতলা বিশ^রোডের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করা, আরাকান সড়ককে (বহদ্দারহাটের পর থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত) ঘিরে সৃষ্ট দুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা করা, নগরজুড়ে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগ লাঘবে সংস্থাটির সঙ্গে চসিকের সমন্বয় করা। চতুর্থ নম্বর দাবিতে বলা হয়েছে, বিমান বন্দরের প্রবেশ মুখসমূহে অফডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো বিমান বন্দরকে পুরো চট্টগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
অফডক কেন্দ্রিক যানজটের জন্য প্রতিদিনই বিমান মিস করছে যাত্রী সাধারণ।
এ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ। পঞ্চম দাবিতে বলা হয়েছে, এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়েটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। অথচ আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কটি পুরোটাই বন্ধ কালভার্ট। সেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ কিভাবে হবে তা ভেবে দেখার বিষয়। আবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ইলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হলে পুরো বন্ধরের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে বলে জানিয়েছে। এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে এতো বিশাল বাজেটের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি জনগণের জন্য সুফল বলে আনবে কি-না তা খতিয়ে দেখার।
এছাড়া খেলার মাঠ এবং আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা, মশক নিধনে ব্যবস্থা নেয়া, সড়ক বাতির নিশ্চিত করা, বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি করা, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারকরণ, খোলা ট্রাকে করে আবর্জনা পরিবহন বন্ধ করা, নগরজুড়ে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করার জন্য উদ্যোগ নেয়া এবং লালখান বাজার, ওয়াসা এবং জিইসি মোড়ে ফুট ওভার ব্রিজ স্থাপন করা।
মেয়র যা বললেন : সিটি মেয়র বলেন, দাবি-দাওয়াসমূহ অত্যন্ত সময়োপযোগী। একটি আধুনিক ও বসবাসযোগ্য নগর গড়তে এই দাবি-দাওয়ার প্রতিটি গুরুত্ব রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এই দাবি দাওয়ার মধ্যে অধিকাংশ দাবির কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে।
আগামী ছয়মাসের মধ্যে এর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবেন নগরবাসী। মেয়র আরো বলেন, মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার একযোগে নগরীর সড়কগুলোতে ওয়াসা, সিডিএ, টিএন্ডটি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে।
স্বাভাবিকভাবেই উন্নয়ন কর্মকা-ের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে রাস্তা কাটার অনুমতি দিতে হয়। একইসাথে নগরীর মূল সড়কগুলো খোঁড়খুঁড়ির কারণে নগরবাসী কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছে। তারপরও আমরা সীমিত সাধ্যের মধ্যে নগরবাসীর দুর্দশা লাঘবে প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে যা এখনো অব্যাহত আছে। সিটি মেয়র আরো বলেন, নগরীর নগরীর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি আপনাদের মতো আমারও দুঃখ হয়।
এতে নগরবাসীর চলাচলের ভোগান্তি হয় বেশি। এই সব প্রকল্পগুলো একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ায় বিধায় অনুমোদন না দিয়ে উপায় থাকে না। আরাকান সড়ক প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আরাকান সড়কটি কালুরঘাট পর্যন্ত ৭১টি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে যার দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। ওয়াকওয়ে এবং যাত্রী ছাউনিসহ এ রাস্তাটি পুরোপুরি সম্পন্ন হলে একটি আকর্ষণীয় রাস্তায় পরিণত হবে। নগরীর যানবাহনের শৃঙ্খলা আনায়নের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই সেক্টরের শৃঙ্খলা আনা অসম্ভব। এর পাশাপাশি বাস ট্রাক মালিক শ্রমিকদেরকে তাদের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। খেলাধুলা মাঠ সম্পর্কে সিটি মেয়র বলেন আমি নিজে একজন ক্রীড়া সংগঠক। এ নগরে প্রতিভাবান খোলোয়ার বেরিয়ে আসুক, সেটা আমি প্রতিনিয়ত কামনা করি। আমি মনে করলে কি হবে-নগরীর নেই খেলার মাঠ নেই বিনোদনের পর্যাপ্ত জায়গা।
তারপরেও চসিক আগ্রাবাদ এলাকায় শেখ রাসেল পার্ক নামে পর একটি পার্ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। সভায় খোরশেদ আলম সুজন মেয়রের উদ্দেশে বলেন, আপনি এই নগরীর অভিভাবক।
সফলতা আর ব্যর্থতার সকল দায়ভার আপনার উপর। এসময় সিটি মেয়রকে সহযোগিতা করবেন বলে আশ^স্ত করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ হাজী মো. ইলিয়াছ, মো. কামাল মেম্বার, হাজী হোসেন কোম্পানী, হাবিবুর রহমান, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আজিম, এজাহারুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন বাহাদুর, মো. শাহজাহান, পংকজ চৌধুরী কংকন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, শেখ মামুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা, স্বরূপ দত্ত রাজু, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, শিশির কান্তি বল, শেখ সরওয়ার্দী এলিন, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, এম ইমরান আহমেদ ইমু, দীপংকর সৌম শান্ত, মনিরুল হক মুন্না, হাসান মুরাদ প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট