চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

নারী নির্যাতন পক্ষ ও রোকেয়া দিবসে বক্তারা

নারী স্বনির্ভর হলে কমবে সহিংসতা

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালকের কার্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালকের কার্যালয় মিলনায়তনে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক অঞ্জনা ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র সহ-সম্পাদক ডেইজী মউদুদ, কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি ও মহিলা হোস্টেল সুপার রোকেয়া বেগম। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক উপ পরিচালক অঞ্জনা ভট্টাচার্য্য। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফাহমিদা আফরোজ বলেন, বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার পথ সুগম করেছিলেন বিধায় আজ আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। তিনি সমাজের অনাচার , অসঙ্গতি ও অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে নারীদের সাহস ও শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানশেষে জেলা পর্যায়ে পাঁচ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সম্মাননা প্রাপ্ত জয়িতারা হচ্ছেন মোছাম্মৎ ফারহানা ইয়াছমিন, ফারজানা আক্তার, মনোয়ারা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস এবং মমতাজ বেগম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, এনজিও, নারী সংগঠন ও সুশীল সমাজের নারী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা : বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মাঝে ছিল র‌্যালি , সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। র‌্যালি চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ থেকে শুরু হয়ে প্রেস ক্লাব , চেরাগী পাহাড় মোড় হয়ে চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এসে শেষ হয়। র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক প্রফেসর সালমা রহমান, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তহুরিন সবুর, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা বিনতে শফি, নারীমুক্তি কেন্দ্রের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আসমা আক্তার ও জেলা কমিটির সদস্য জুলায়খা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রোকেয়ার জীবন ও সংগ্রামকে তুলে ধরে নানা আয়োজন হাতে নিয়েছে তার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র রোকেয়া দিবসের চেতনাকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে চায়। যতই বেগম রোকেয়াকে আলোচনা করা হবে, ততই উপকৃত হবে নারী জাতি। নারীরা শিক্ষা দীক্ষায় স্বনির্ভর হয়ে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াবে। সভাশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে ‘বই পড়া’ প্রতিযোগিতায় নয় জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট