চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাহাড়ি-বাঙালির স্বার্থ রক্ষাই মূল লক্ষ্য

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের স্বার্থরক্ষায় নবগঠিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ এর মূল সংগঠন হিসেবে থাকবে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ’ ও ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ’। একইসাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত সকল সংগঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া।সংগঠনের

সদস্য সচিব হয়েছেন এস এম মাসুম রানা। লিখিত বক্তব্যে মামুন ভুঁইয়া আরো বলেন, ‘নবগঠিত এই সংগঠনটি কোনভাবেই শুধুমাত্র বাঙালিদের সংগঠন নয়। বরং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি- বাঙালি নির্বিশেষে সকল নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য এর দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল শ্রেণীর ও পেশার মানুষের স্বার্থ রক্ষায় নবগঠিত এই সংগঠনটি উপজাতি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মত চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত হবে না। আমাদের বিশ^াস পাহাড়ের সর্বস্তরের ও সব সম্প্রদায়ের শান্তিকামী ও দেশ প্রেমিক মানুষ এই নব সংগঠনের ছায়াতলে এসে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হবে। আমাদের এ মহান প্রয়াসে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য চুক্তি’ সম্পাদিত হয়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শান্তিবাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও কিছু অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের সশন্ত্র তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাই নয় বরং চঁাঁদাবাজির টাকায় তাদের অস্ত্রের ভা-ার দিন দিন আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। আর এই চঁাঁদাবাজির টাকার লোভে জনসংহতি সমিতি ভেঙ্গে একের পর এক মোট চারটি উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয়েছে। যার ফলে পার্বত্য চুক্তির কাক্সিক্ষত সুফল পাচ্ছে না পার্বত্যবাসী।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম অধিকার আন্দোলন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য অধিকার ফোরামসহ অন্যান্য সংগঠন এর সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম বিলুপ্ত ঘোষণা করেন নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, মো. রফিকুল আলম, মো. আলমগীর কবির, কাজী মজিবুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু তাহের, এস এম মাসুদ রানা, মো. পারভেজ তালুকদার, মো. রেজাউল করিম, মো. মনিরুজ্জামান, মো. আনিছুজ্জামান ডালিম, সালমা আহমেদ মৌ ও এডভোকেট আলম খান প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট