চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভারী যান চলাচলে দেবে যাওয়ার শঙ্কা

বাহারছড়ায় বশির মিয়াজী বাজার সড়কে ফাটল

বাঁশখালী

অনুপম কুমার অভি, বাঁশখালী

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের গোলাম আলী মুন্সির খাল খনন করতে গিয়ে বশির মিয়াজীর বাজার এলাকায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কে ফাটল ধরেছে। প্রায় চার মাস পেরোলেও রাস্তাটিকে ভারী যান চলাচলের উপযোগী করতে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে সড়কটি দেবে যাওয়ার হুমকি থাকলেও মাঝে মাঝে ভারী যানবাহনও চলছে।

জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারের মাধ্যমে বাহারছড়া ইউনিয়নের গোলাম আলী মুন্সির খালটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে খননকাজ শুরু হয় গত জুন মাসে। খননকাজ শুরুর কিছুদিন পরেই স্থানীয় লোকজনের কেউ কেউ খালের জায়গায় তাদের জমি আছে দাবি করে মাটি খননকাজে বাধা দেয়। তবে অন্য অংশে ঠিকাদারের লোকজন স্কেভেটর দিয়ে খাল থেকে মাটি খননের সময় ছলিমা বাপের পুল থেকে বশির উল্লাহ মিয়াজীর বাজার সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কটিতে ফাটল দেখা দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে।

সরেজমিনে জানা যায়, বাঁশখালীর প্রধান সড়ক থেকে বাহারছড়ায় যাতায়াতে জনগুরুত্বপূর্ণ একমাত্র অভ্যন্তরীণ সড়ক বশির মিয়াজী বাজার সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বাহারছড়া হতে উপজেলা সদরসহ চট্টগ্রাম শহরে এবং বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। তাছাড়া বিভিন্ন স্থান হতে এই সড়ক দিয়ে বাহারছড়া সমুদ্র সৈকতে আসেন অসংখ্য পর্যটক। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির পাশেই রয়েছে গোলাম আলীর মুন্সির খাল। এই খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাউবো কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের মাধ্যমে খালটি খননের কাজ শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। এতে পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক যান চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। ভারী যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়কটিতে ফাটল দেখা দেয়ায় পাউবো কর্তৃপক্ষের নিয়োজিত ঠিকাদার খাল খননকাজ ৪ মাস ধরে বন্ধ রেখেছে।

ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিন জানান, ঠিকাদারের লোকজন খাল খনন করতে গিয়ে সড়কের অংশ থেকে মাটি তুলে ফেলায় রাস্তাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও পাউবো’র দায়িত্বরত ঠিকাদার নিয়োজিত স্কেভেটরচালক তখন তা কর্ণপাত করেনি।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানকারী পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের সাথে গতকাল শনিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার খাল খননে ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। রাস্তায় ফাটল দেখা দিলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে শীঘ্রই তারা পুনরায় খননকাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদেরকে রাস্তায় ফাটলের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট