চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কুতুবদিয়ায় ‘মক্তব শিক্ষা’ প্রসারের উদ্যোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুতুবদিয়া

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নৈতিক শিক্ষার প্রথমস্তর সকাল বেলার ‘মক্তব শিক্ষা’। যেখানে মুসলিম কচিকাঁচা শিশু-কিশোররা শিক্ষাগ্রহণ করে আসছে সহিহ্ কোরআন, নামাজ ও ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দোয়া-দরুদ। মাঝে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব বাড়ায় মক্তব শিক্ষায় অনাগ্রহ দেখা দিলেও ইসলামি বুনিয়াদি শিক্ষা প্রসারে ফের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শহর থেকে শুরু করে গ্রামের অলি-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে মক্তব শিক্ষার একই সময়েই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করায় বিগত দু’ দশক ধরে ইসলামের বুনিয়াদি মক্তব শিক্ষা অনেকটা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। শিশু বয়সেই নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় দেশের বহু শিশু-কিশোর বিপথগামী হচ্ছে প্রাপ্ত বয়সে। এই বাস্তবতার আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু করায় আবারও উজ্জীবিত হয়েছে ইসলামের সেই বুনিয়াদি শিক্ষা। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বহু আলেম-ওলামার। সারা দেশের ন্যায় কুতুবদিয়ায় সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র ৫৪, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪০, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র ১টি ও ২টি দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে। ওসব শিক্ষা কেন্দ্রের ৯৫ জন শিক্ষক দুই ঈদ বোনাসসহ মাসিক সম্মানী পান ৪ হাজার ৫শ ও দারুল আরকামের ৪ শিক্ষক বেতন পান ১১ হাজার ৩শ করে। তাদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষাগ্রহণ করছে ৭ থেকে ১১ বছর বয়সের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিশু-কিশোর। ওসব শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় বই-কিতাব, খাতা, কলম, চক, শিলেট, ব্লাকবোর্ড ইত্যাদি। এছাড়া মসজিদভিত্তিক গণপাঠাগার রয়েছে ২০টি। ওসব পাঠাগারে উন্মুক্ত রয়েছে কোরআন, হাদিস ও ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্যের ওপর মনিষীদের রচিত বিভিন্ন বই-কিতাব। যে জ্ঞান-সাধনার সুযোগ গ্রহণ করছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো. ইলিয়াছ রেজা ও মডেল কেয়ারটেকার শামসুল ইসলাম নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সক্রিয় রেখেছে এসব কেন্দ্রসমূহ। ইসলামের এই বুনিয়াদি শিক্ষাধারাকে সচল রাখতে কেজি স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি নিয়মে সময়সূচি চালু রাখার দাবি উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাধারণ সম্পাদক এমএম হাছান কুতুবীসহ অনেকের।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট