বাঁশখালী উপজেলায় পশ্চিম চাম্বল সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার আসামি শিক্ষক মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ (২০) কে গতকাল মঙ্গলবার ভোর সকালে শীলকূপ ইউনিয়ন নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মিডিয়া এ.এস.পি মোহাম্মদ মাশকুর রহমান বাঁশখালী উপজেলায় মনকিচর থেকে মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ কে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল আজিজিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় অন্য ছাত্রীদেরকে ছুটি দিয়ে (ছদ্ম নাম সীমু)কে আটকে রেখে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে শিক্ষক জোর পূর্বক ধর্ষণ করার ঘটনাটি বাড়ীতে গিয়ে মা ও চাচীকে বর্ণনা দেন ধর্ষিত ছাত্রীটি। পরে ছাত্রীটি উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতাল ও.সি.সিতে ভর্তি হন। ছাত্রীটির পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসা পরিচালক (বড় হুজুর) মাহমুদুল্লাহকে বিষয়টি অবহিত করেন। এই ঘটনা প্রচার হয়ে গেলে শিক্ষক মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অবশেষে ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি শিক্ষক মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ র‌্যাবের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে গতকাল দুপুরে থানা পুলিশ হেফাজতে হস্তান্তর করেছে।