চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইউএসটিসির ভারতীয় ছাত্র হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণের শুনানি ৮ জানুয়ারি

আদালত প্রতিবেদক

৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

ইউএসটিসির এমবিবিএস’র ভারতীয় ছাত্র মো. আতেফ শেখ হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণের শুনানি ৮ জানুয়ারি। সিআইডির দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন বা চার্জশিট বিষয়ে বাদির কোনরূপ আপত্তি বা বক্তব্য থাকলে তা উপস্থাপন করার জন্য

বাদিকে আদালত ইতিপূর্বে নির্দেশ দেন। ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার দপ্তরের মাধ্যমে পুলিশ বিষয়টি মামলার বাদি ও নিহতের পিতাকে অবহিত করেন। অবহিতকরণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। বাদির উপস্থিতির জন্য আদালত চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণি চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

সিআইডি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রওশন আরা রব দ্বিতীয় দফায় মামলাটি তদন্তের পর এ বছর ২০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় ছাত্র মাইসনাম উইনসন সিংকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে প্রথম দফায় মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বছর ২২ জুলাই পিবিআই’র ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমার চাকমা নিহত আতেফ শেখের সহপাঠী ইউএসটিসি একই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ভারতীয় ছাত্র গাংমেই নিরাজ গুরুকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়।

গত বছর ৩১ জুলাই ওই চার্জশিট গ্রহণ না করে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন। সিআইডির ন্যূনতম এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলাটি আবারো তদন্ত করতে বলেন আদালত।
জানতে চাইলে সিএমএম আদালতের আকবরশাহ থানার জিআরও মো. আজাহার পূর্বকোণকে বলেন, আদালত চার্জশিট গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য ৮ জানুয়ারি ধার্য করেছেন।

২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর উইনসং সিংকে পুলিশ নগরীর ম্যাক্স হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। নিজেকে মানসিক রোগী হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন উইনসন সিং। কিন্তু এ ব্যাপারে গঠিত মেডিকেল বোর্ড এক প্রতিবেদনে তিনি সুস্থ বলে মতামত দেয়া হয়।

একই বছর ১৪ জুলাই নগরীর আকবরশাহ থানাধীন হাজী ইউসুফ ম্যানশনের ভাড়া বাসায় ভুক্তভোগী ও তার সহপাঠীরা পান আড্ডার আয়োজন করে। ওই বাড়ির ৫ তলায় আরো দুই ভারতীয় ছাত্রসহ আতেফ বসবাস করতেন। অন্য তিনজন হলেন, মাইসনাম উইনসন সিং, টংবরম জোয়েস্টানা দেবী। ওইদিন ইউসুফ ম্যানশনে আতেফের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই আতেফ শেখের বাবা বাদি হয়ে আকবরশাহ থানায় পুত্র হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি ভারতের মনিপুরের ইম্পলপূর্ব জেলার প্রেমপাত থানাধীন খাইকো মানিংলেইকাই খেস্ত্রেবেগেয়া এলাকার বাসিন্দা। এজাহারে কারো নাম উল্লেখ না করলেও ভারতীয় আরেক ছাত্র গাংমেই নিরাজ গুরুসহ ৮ জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখেন। ঘটনার কয়েকদিন পর গাংমেই গ্রেপ্তার হন। দুই রুমমেট ছাড়াও রয়েছেন দুই বাংলাদেশি ছাত্র। তারা হলেন, প্রভাকর লাইসরাম, মালেমংগংবা মায়েংবাম, অথোকপাম রোনাল্ড, বাংলাদেশি ছাত্র প্রমশ চাকমা ওরফে টকু ও সজল চাকমা ওরফে মুন।

তদন্তশেষে পিবিআই অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ না পাওয়ায় অন্য অভিযুক্তদের অব্যাহতির আবেদন করে মাইসনাম উইনসন সিংকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২২জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দ্বিতীয় দফায় দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনেও মৃত্যুর কারণ এবং এক আসামিকে অভিযুক্ত করার একই রকম বিষয়ে একই রকম বক্তব্য উঠে আসে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট