চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

জারুলিয়া ছড়িতে স্বামীকে কুপিয়ে জখম করলো স্ত্রী

নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা

৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

বিবাহ গোপন রাখার দায়ে মো. মুছাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর ) দিবাগত গভীর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি এলাকার বোমাঝিরি নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত মো. মুছা (৩০) জারুলীয়াছড়ি এনামুল হক এর পুত্র।  

জানা যায়, আহত মো. মুছা দীর্ঘ সাত বছর যাবত জারুলিয়াছড়ি এলাকার বোমাঝিরিতে বসবাস করতেন। সেখানে পারভীন নামে এক মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আনুমানিক দীর্ঘ দশ বছর সংসার করার পর ওই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। সেই সংসারে তিন মেয়ে, এক পুত্র সন্তান রয়েছে।

পরে টেকনাফ জিঞ্জিরা এলাকার মনোয়ারা বেগম নামে দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হন মো. মুছা। মনোয়ারা বেগম এবং মো. মুছার সংসারের এক বছরের মাথায় একটি পুত্র সন্তান আসে সংসারে। দুই বছর সংসার করার পর কোন ধরনের অজুহাত ছাড়াই নিজ গর্ভের দেড় বছরের সন্তানকে রেখে চলে যায় বাপের বাড়ীতে।

পরে স্ত্রী মনোয়ারার জন্য দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষা করার পর সন্তান লালন পালনের দায়ে কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার হাসিনা বেগমকে তৃতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হয়। তৃতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগম প্রতিবন্ধী ছিলেন। সেই সংসারেও এক সন্তান রয়েছে। সেই প্রতিবন্ধিকে নিয়ে সংসার ভালোই চলছিল। সংসারে এক বছর অতিবাহিত হতে দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগম মো.মুছার কাছে চলে আসেন। আলাদা ভাবে সংসার করার প্রস্তাব দিলে স্বামী মুছা প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে ভাড়া বাসায় রেখে ভরণ-পোষণ ঠিক মতো দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজ ঘরে পুণঃরায় সংসার করে। হঠাৎ গত বুধবার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা স্বামী মো.মুছাকে গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম  করে। আহত মো. মুছাকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর ব্লিডিং দেখে দ্রুতগতিতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।

গুরুতর অহত হওয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এস.আই মো.নুরুল আমিন বলেন, ঘাতক মনোয়ারা বেগম স্বামী মো.মুছাকে হত্যা করার উদ্দেশে আঘাত করেছে বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। আহত মুছাকে দ্রুত কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে থানার হেফাজতে রয়েছে বলে জানান তিনি।

আহত মুছার ছোট বোন মিনারা বেগম জানান, আমার বড় ভাই মো. মুছা বিয়ে করে দীর্ঘ ১০ বছর সংসার করে ৪ সন্তানের জনক হওয়ার পর সাংসারিক কলহের দায়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায় বিয়ে।

আর এদিকে, ঘাতক মনোয়ারা বেগম যেন তদন্তপূর্বক যেন ছেড়ে না দেয়ার দাবী জানিয়েছেন আহত মুছার মা-বা ও স্বজনেরা। তারা সুষ্ট তদন্ত বিছার চান আহতের পরিবার।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট