চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

শীতে আরো বেপরোয়া পতেঙ্গা সৈকতের দোকানদাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:১৯ পূর্বাহ্ণ

একটু প্রশান্তি আর বিনোদনের জন্য যেকোনো বয়সের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ভীড় জমায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। পরিবার নিয়েও অনেকে বেড়াতে যায় ছুটির দিনে। শীত এলে তো কথাই নেই, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই সৈকত দর্শনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে পর্যটকরা। বনভোজন ও শিক্ষাসফরে আসে হাজার হাজার মানুষ। এই উপচে পড়া পর্যটকদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা আদায় করছে খাবারের দোকানগুলো। দাম না জেনে খাবার খেয়ে পর্যটকদের গুনতে হয় বাড়তি টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের চলমান সৌন্দর্য কাজের একপাশে বেশকিছু জায়গা দখল করে গড়ে ওঠেছে খাবার, প্রসাধনী সামগ্রীসহ নানান ধরনের দুই শতাধিক দোকান। সমুদ্রের পাশে বসে খোলা পরিবেশে খাবার খেতে পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এসব দোকানে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। খাবার শেষে বিল পরিশোধ করতে গিয়ে দোকানদারদের সাথে বিবাদে জড়াতেও দেখা যায় তাদের অনেককে। শুধু এই দোকানগুলোতেই নয়, সমুদ্রপাড়ে যেতে হাতের দুপাশে যে খাবারের দোকানগুলো রয়েছে সেখানেও দেখা গেছে একই চিত্র।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের ভিড় জমে এ সৈকত পাড়ে। শীতকাল এলেতো পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়ে। তাই এ মৌসুমে ক্রেতাদের ঠেকিয়ে টাকা আদায় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দোকানদাররা। তাদের সাথে এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করা যায় না। ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা তাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়। সংগঠনটি শক্তিশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেয় না প্রশাসন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়–য়া পূর্বকোণকে বলেন, ‘একটা সময় সৈকতের পাশে দোকানগুলো ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। আমরা পর্যটকদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযানও করেছি। কিন্তু এখন সৈকতে সেই পরিবশে আর নেই। যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এছাড়া দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে আমরা সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করবো।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট