চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

গণবদলিতে ‘অসঙ্গতি’ চসিক রাজস্ব বিভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

রাজস্ব বিভাগের গণবদলির মাঝে কিছু অসঙ্গতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভাগের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং একজন কর কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও বাকি সাত কর কর্মকর্তা এখনো বহাল আছেন। দুইজন উপ-কর কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে একটু আলাদাভাবে। সংশ্লিষ্টদের ভাষায় ওই দুই উপ-কর কর্মকর্তাকে ‘ভাল’ জায়গায় পদায়ন করা হয়েছে।

রাজস্ব বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী পূর্বকোণকে জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব শাখায় গণবদলি প্রথম দিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করলেও ধীরে ধীরে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে কর কর্মকর্তাদের (ট্যাক্সেশন অফিসার) মধ্যে মাত্র একজনকে পদাবনতি দিয়ে বদলি করা হয়েছে। বাকি সাতজন বহাল আছেন। অপরদিকে একজন ছাড়া সব উপ-কর কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। শুধুমাত্র ৫ নম্বর সার্কেলের উপ-কর কর্মকর্তা মহিউদ্দিনকে বদলি করা হয়নি। তিনি আবার কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই সেই সার্কেলের কর কর্মকর্তার চেয়ারে বসেন।

অপরদিকে ৮ নম্বর সার্কেলে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ। তাকে বদলি করা হয়েছে ৫ নম্বর সার্কেলের লাইসেন্স কর কর্মকর্তা হিসেবে। ৮ নম্বর সার্কেলের শুধু লাইসেন্সের দায়িত্বে থাকা শারেক উল্লাহকে দেয়া হয়েছে পুরো সার্কেলের দায়িত্ব।

তুমুল সমালোচনা চলছে দুইজন উপ-কর কর্মকর্তার বদলি নিয়ে। ১ নম্বর সার্কেলের সকল উপ-কর কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে ২ নম্বর সার্কেলে। কিন্তু ১ নম্বরের উপ-কর কর্মকর্তা মনজুর উদ্দিন চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে ৬ নম্বর সার্কেলে। তাকে দেয়া হয়েছে খুলশী এলাকার দায়িত্ব। তিনি আবার দক্ষিণ জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। অপরদিকে ৬ নম্বর সার্কেলের সব উপ-কর কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে ৫ নম্বর সার্কেলে। কিন্তু শুধুমাত্র উপ-কর কর্মকর্তা আবুল কালামকে বদলি করা হয়েছে ১ নম্বর সার্কেলে। জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা পূর্বকোণকে বলেন, কর কর্মকর্তাদেরও বদলি করা হবে। এ নিয়ে কারো অসন্তোষ প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই। যেহেতু তারা সংখ্যায় কম তাই অন্যদের সাথে তাদেরকে বদলি করা হয়নি। তবে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে তারাও বদলি হবেন। যে দুইজন উপ-কর কর্মকর্তাকে ‘ভাল’ জায়গায় বদলি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডই ভাল। যে কর্মকর্তা যে ওয়ার্ডে বদলি হবেন, শেষ পর্যন্ত তাকে রাজস্ব আদায় করতে হবে। তাই এখানে ভাল বা মন্দ জায়গা বলতে কিছু নেই।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট