চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বোয়ালখালী থানা হাজতে আসামি অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৪ মে, ২০১৯ | ২:১৭ পূর্বাহ্ণ

জায়গা জমির বিরোধের জেরে উপজেলা পূর্ব গোমদ-ী পাল পাড়ায় প্রতিবেশীদর সাথে রিকশাচালক মো. ইউছুপ এবং তার পরিবারের মারামারির ঘটনা ঘটে ৮মে সন্ধ্যায়। এতে পাল পরিবারের ৭ জন আহত হন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মো. ইউছুপ ও তার ছেলে সেলিমকে আটক করে। বোয়ালখালী থানা হাজতে তিনদিন ধরে আটকের এক পর্যায়ে হাজতি মো. ই্উছুপ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১১ মে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। গত ১২ মে রবিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুলকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তবে ৮ মে আটকের কথা অস্বীকার করে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইরুল ইসলাম বলেন, জমি বিরোধে মামলা হলে ১০ মে ইউছুপ ও তার ছেলেকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পরপর আটকের বিষয়টি সত্য নয়।
জানা যায়, ৮ মে মারামারির ঘটনায় মনোতোষ পাল (৫০)সহ ৭জন আহত হন। মনতোষ পালকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯ মে থানায় ইউছুপসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার এজাহার দেন তানিয়া পাল। তবে পুলিশ দালালদের আপোষের আশ্বাসে মামলা নিয়ে গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হওয়া ও ১১ মে দুপুরে ইউছুপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এ ইস্যুকে কাজে লাগায় একটি পক্ষ। ওই দিন আটককৃত মো. ইউছুপের ছেলে মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
তবে তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মো. ইউছুপকে একদিন পর রবিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ পান বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ পাল্টাপাল্টি মামলা নেয়। এদিকে ইউছুপ ও তার ছেলে আটক হলেও ইউছুপের স্ত্রী জরিনা বেগমের দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেননি পুলিশ।
আসামিরা ঘরে তালাবদ্ধ করে পলাতক রয়েছে জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তাজ উদ্দীন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট