চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভাইরাস জ¦র ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব টেকনাফে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ

১৪ মে, ২০১৯ | ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

অতিরিক্ত গরমের কারণে টেকনাফে ভাইরাস জ¦রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ভিড়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা জানান, ভাইরাসের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। অতিরিক্ত তাপদাহ এবং পরিবর্তনশীল জলবায়ুর প্রভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ বছর ভাইরাস জ¦রে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত ভাইরাস জ¦রে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। ভাইরাসের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে। হাসাপাতালের চিকিৎসকগণও ভাইরাস থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সময়মত বিশ্রাম, স্বাস্থ্য-পুষ্টিকর খাবার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তীব্র এই গরমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই বলে জানান চিকিৎসকরা।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ড. শংকর চন্দ্র দেবনাথ এবং স্যাকমো আলহাজ ডা. আজাদ মোহাম্মদ নুরুল হোছাইন জানান, ‘রোগী দেখতে দেখতে আমরা নিজেরাও গত তিন দিন ধরে ভাইরাস জ¦র এবং প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় ভুগছি। মাত্রাতিরিক্ত গরমে চলাচল করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। রমযান মাস এবং তীব্র তাপদাহের কবলে পড়ে মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন’।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন বড়–য়া জানান, ‘গত সপ্তাহ থেকে টেকনাফে ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন, প্রচ- গরম এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে ভাইরাস জ¦রের পাশাপাশি পাতলা পায়খানা ও বমি করছেন আক্রান্ত রোগীরা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থকর খাবার পরিবেশন এবং ঠিকমত বিশ্রাম নিলেই ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন। হাসপাতালে আগত রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট