চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত

চন্দনাইশ সরকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এক অজানা কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ

১৪ মে, ২০১৯ | ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারপাশে ময়লা-আবর্জনায় নোংরা পরিবেশে মশা-মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের এসব মশা-মাছির উপদ্রব সহ্য করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের কার ও মাইক্রো ধৌত করলেও দেখার যেন কেউ নাই। মূল ভবনের ছাদের আস্তরণসহ পিলার ভেঙে পড়েছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন বিজ্ঞ মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে চারিপাশে নোংরা পরিবেশ। মূল ভবনের দু’পাশে প্রচুর পরিমাণ ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। হাসপাতালের অভ্যন্তরের সড়কে কার-মাইক্রো ধৌত করা হলেও বাধা দেয়ার যেন কেউ নাই। মূল ভবনের পশ্চিম পাশে ছাদের আস্তরণসহ পিলার ভেঙে পড়লেও সংস্কার করার কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। হাসপাতালের অভ্যন্তরে হাসপাতালের ব্যবহারিত ময়লা-আবর্জনা প্রতিনিয়ত ভবনের আশেপাশে জমাট করে রাখা হচ্ছে। অপসারণের কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপে জন্ম নিচ্ছে প্রতিনিয়ত মশা-মাছি। এ সকল মশা-মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা। অথচ সরকার গত ২০ এপ্রিল থেকে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কয়েক দফায় ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এক অজানা কারণে দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশে কোনরকম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। একইভাবে হাসপাতালের অভ্যন্তর সড়কে দিন-দুপুরে হাসপাতালে কার্যক্রম চলাকালীন সময় একাধিক কার-মাইক্রো রেখে ধৌত করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনরকম বাধা প্রদান করতে দেখা যায় নাই। যার কারণে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সড়কে ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত হাসপাতাল এলাকা। এ ব্যাপারে দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবু তৈয়ব বলেছেন, জমা করা ময়লা-আবর্জনাগুলো কিছুদিন পরপর পরিষ্কার করা হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে যানবাহন ধৌত করতে না পারার লক্ষ্যে সড়কে একটি ব্যারিকেট দেয়া হয়েছিল। কে বা কারা রাতে অন্ধকারে এটা ভেঙে দিয়ে যানবাহন ধৌত করছে। তবে পুনরায় ব্যারিকেট দিয়ে যানবাহন প্রবেশ করতে না পারার ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। হাসপাতালের মূল ভবনের ছাদ গতবছর মেরামত করা হয়। সম্প্রতি ছাদের এ অংশ ভেঙে পিলার ঝুলে থাকার বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট