চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাইকারিতে ফের অস্থিরতা খুচরায় বেচাকেনা সীমিত

পেঁয়াজের বাজার সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম ঝুঁকি না নিতে পেঁয়াজ বিক্রি ছেড়েই দিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

দুই মাসেও স্বস্তি ফিরছে না পেঁয়াজের বাজারে। এক দফা কমলে, আরেক দফা বেড়ে যায়। ক্রেতাদের পকেট যেমন কাটা যাচ্ছে, বিক্রেতাদের মধ্যেও অনিশ্চয়তা ভর করছে। এই মুহূর্তে দাম কমলে, পর মুহূর্তে আবার বেড়ে যাচ্ছে। দামের উত্থান-পতনে ‘ঝুঁকি’ না নিতে পেঁয়াজ বিক্রি ছেড়েই দিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য আকাশপথেও আনা হচ্ছে পেঁয়াজ। এছাড়াও চট্টগ্রামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। তারপরও পেঁয়াজের বাজারে স্থিতিশীলতা আসছে না।
খাতুনগঞ্জ আড়তদার জাবেদ ইকবাল জানান, ‘বাজার অস্তিরতায় বেকায়দায় রয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। বাজারে ক্রেতা না থাকায় বেচাকেনা অনেকটা কমে গেছে। ঝুঁকি এড়াতে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখন আর আগের মতো বাজারে আসছে না’।

পাইকারি মোকাম চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা দরে। অথচ গত বুধবারও মিয়ানমারের পেঁয়াজ একশ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পাইকারিতে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তুরস্ক, চায়না ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। খুচরা বাজারে মিয়ানমারের আমদানি করা উন্নতমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। মধ্যমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। মিশর, চায়না ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। পাইকারি বাজারের অস্তিরতার ঢেউ লেগেছে খুচরা বাজারে। অনেক দোকানে পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক দোকানি।
মিশর, চায়না ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও প্রভাব ফেলতে পারেনি বাজারে। ইতিমধ্যেই নৌ-আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় অনেক শিল্প গ্রুপ। তারপরও বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না।
আড়তদার জাবেদ ইকবাল বলেন, তুরস্ক, চায়না ও মিশরের পেঁয়াজ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কারণ এসব পেঁয়াজ আকারে বড় হওয়ার খুচরা বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা কম। এছাড়াও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। মিয়ানমারের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

গত দুই মাস ধরে অস্থিরতা চলে আসছে পেঁয়াজের বাজারে। আমদানিকারক ও ফড়িয়া সিন্ডিকেট ভোক্তাদের পকেট কেটেছে।
গতকাল (শুক্রবার) কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ অনেকটা কম। বেশিরভাগ দোকানি পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ এয়াকুব চৌধুরী বলেন, ‘একদিন কমলে পরদিন দ্বিগুণ-তিন গুণ বেড়ে যায়। পেঁয়াজের বাজারে অনিশ্চয়তা নেমে এসেছে। তাই পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট