চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অগ্নি সচেতনতা বৃদ্ধিতে মেয়রের লিফলেট বিতরণ

২৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে অগ্নি সচেতনতা ও প্রতিরোধে সিটি মেয়রের প্রচারপত্র বিতরণ শুরু করেছে প্রতিধ্বনি ক্লাব। এই উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে অগ্নি সচেতনতা ও প্রতিরোধ বিষয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক সিটি মেয়রের প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র ছাড়াও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আ.লীগ নেতা পুলক খাস্তগীর, ছাত্রনেতা অনিন্দ্য দেব, সংগঠনের সভাপতি সমন্যু চত্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রিমন দত্ত, পসৗরভদাশ, জয় দাশ গুপ্ত, তন্ময় দাশ গুপ্ত, ইজাজুল হক এজাজ, ফাহিম রাফসান, ভাস্কর নন্দী, সানি তালুকদার, আদ্রি রাহা, নয়ন ধর, ইমন দত্ত, মান্না সরকার প্রমুখ। উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, আগুন লাগার মূল কারণ অসাবধানতা। অসাবধানতার সঙ্গে যোগ হয় অজ্ঞতা।

আগুন লাগার বড় ধরনের উৎসগুলো হচ্ছে জ্বলন্ত চুলা,জলন্ত সিগারেট,জলন্ত ম্যাচের কাঠি, খোলা বাতি, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, গরম ময়লা, আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু, ছেলে মেয়েদের আগুন নিয়ে খেলা বা রাসায়নিক বিক্রিয়া ইত্যাদি। এছাড়া মেশিনারিজ,আবর্জনা গ্যাস সৃষ্টি, মেশিনের ঘর্ষণ,বজ্রপাত গ্যাসের সিলিন্ডার ও চার্জরত মোবাইল ফোন হতে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরণ থেকেও আগুন লেগে যেতে পারে। তাই আমাদের সকলকে উল্লেখিত বিষয়ে সচেতনতা ও দায়িত্ববান হতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে মেয়র অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য কতিপয় নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন। নির্দেশনাগুরো হলে অগ্নি প্রতিরোধে সচেতনতা হওয়া, সম্ভাব্য অগ্নিকা- মোকাবেলায় হাতের কাছে দু’বালতি পানি বা বালু মজুদ রাখা, বাসগৃহ, কল কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্রপাতি স্থাপন করণ এবং মাঝে মাঝে সেগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা, গুদাম বা কারখানায় ধূমপান নিষিদ্ধ করণসহ দৃশ্যমান স্থানে সতর্কীকরণ পোস্টার প্রদর্শন, আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের সেবা চাইতে ৯৯৯ নম্বরে কল করুন।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট