চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লোহাগাড়া শুক্রবারের প্রতিবেদন

মানবতার কল্যাণে রাজ্জাক-আম্বিয়া ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসাসেবা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লোহাগাড়া

২২ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:১৮ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া মানুষগুলো আর্থিক দূরাবস্থার কারণে মানসিকভাবে সবসময় দুর্বল থাকে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, ও চিকিৎসা সংকটে তারা দিশেহারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। রোগ-শোকে তারা দিশেহারা। অর্থের অভাবে এ শ্রেণির মানুষের মধ্যে অনেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। এতে চিকিৎসকের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে রোগিরা উপকৃত ও সন্তুষ্ট হন। এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হতদরিদ্র রোগীদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রভাষক ডা. সৈয়দ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন। তার বাড়ি উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দ পাড়ায়। চেম্বার পদুয়া বাজারের সেভেন স্টার শপিং কমপ্লেক্সে। তার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নাম মাদার হোমিও ক্লিনিক।

চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি আর্থিকসেবা দিয়ে যাচ্ছেন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী ও দুস্থ জনগণের মাঝে। সাম্প্রতিককালের একান্ত সাক্ষাৎকালে তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবত তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেশার সাথে জড়িত। বহু ধরনের জটিল ও পুরাতন রোগের চিকিৎসাসেবায় তিনি কৃতকার্য। টাকা উপার্জনের চেয়ে যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিয়ে রোগীর আরোগ্য লাভ করা তার কাম্য। তাই তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেন রোগ নিরাময়ে রোগীকে সঠিক চিকিৎসাসেবা দিতে। দূরারোগ্য চর্মরোগে আক্রান্ত নেজাম উদ্দিন জানান, তিনি উক্ত চিকিৎসকের কাছে স্বল্প টাকা ব্যয়ে যথেষ্ট উপকার পেয়েছেন। যে কারণে তিনি পরিবারের সকলের চিকিৎসা ওইখানেই করান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন মহিলা রোগী ও তার সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করেন।

ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আরো জানান, হোমিও চিকিৎসা জগতে তার পদার্পণ বহু বছর পূর্বে। তিনি হত-দরিদ্র রোগীদের করুণ আর্থিক অবস্থায় বিচলিত হন। ফলে নিজ গ্রামে মা-বাবার স্মৃতি বিজড়িত রাজ্জাক-আম্বিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১৭ সাল থেকে নামমাত্র ফি নিয়ে সৈয়দ রাজ্জাক-আম্বিয়া ফ্রি ফ্রাইডে হোমিও ক্লিনিকের মাধ্যমে ঔষধসহ চিকিৎসাসেবা দিতে শুরু করেন। প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় দেড় থেকে ২শ রোগির চিকিৎসাসেবা দেন। গাইনি রোগে আক্রান্ত আছমার সাথে আলাপ কারণে তিনি জানান, তিনি রোগের জন্য বহু টাকা ব্যয় করেও যথাযথ সুফল পাননি। বেশি বিত্তবান হলে নামি-দামি চিকিৎসকের কাছে যেতেন। রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ডা. মহিউদ্দিনের চিকিৎসায় সুফল লাভ করেন বলে তিনি জানান। ডা. মহিউদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ সেবার মন-মানসিকতা নিয়ে মা-বাবার স্মৃতি অম্লান রাখার জন্য তিনি এভাবে হত-দরিদ্র রোগীদের সেবা করে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট