৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলেছে। আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এই কর্মবিরতির কারণে আমদানি পণ্য খালাস ও ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক এনামুল করিম পূর্বকোণকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে কোন ধরনের প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে পণ্য খালাস চলছে। বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে গাড়ি রওনা হয়েছে।’
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, ‘বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে পড়লে জাহাজ থেকে নামানো কনটেইনার রাখার জায়গাও কমে আসবে। ধীরে ধীরে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোও বন্ধ হয়ে পড়লে পণ্য পরিবহনে স্তবিরতা দেখা দিতে পারে।’
এদিকে বৃহত্তম চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি জহুর আহমদ বলেন, ‘কর্মবিরতির কারণে আজ সকালে বন্দর থেকে পণ্যাবাহী গাড়ি বের হয়নি। গতকাল রাতে যেসব ট্রাক ঢুকেছে সেগুলো আজ ভোর ৬টার আগে বের হয়ে গেছে। যে ট্রাকগুলো পণ্য লোড করতে পারেনি সেগুলো আর বের হচ্ছে না। শ্রমিকরা গাড়ি চালাচ্ছে না।’
বন্দরে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার নেওয়া হয় কনটেইনার ডিপো থেকে প্রাইম মুভার ট্রেইলারে করে। কিন্তু আজ সকালে ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি বের হয়নি। যেসব জাহাজ আজ বন্দর জেটি ছেড়ে যাওয়ার কথা, সেগুলোতে রাতেই রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বোঝাই হয়েছে। কাল যেসব জাহাজ বন্দর জেটি ছেড়ে যাবে, সেগুলো রপ্তানি পণ্য বোঝাই করার জন্য আজ রাতেই ডিপো থেকে বন্দরে পাঠাতে হবে। না হলে রপ্তানি পণ্য পরিবহনও বন্ধ হয়ে পড়বে। কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ি প্রাইম মুভার চলছে না। শ্রমিকেরাও কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।
দেশে আমদানিকৃত পণ্যের ৯৩ ভাগ সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। কাজেই যেকোন ধরনের প্রভাব পুরো দেশের আমদানি-রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পূর্বকোণ/পিআর