চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় কমিশনার

পেঁয়াজ ও চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসলে হার্ড লাইনে যাবো

১৯ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই, ধানের মূল্য নেই, অথচ চালের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। বাজার অস্থিতিশীল করা ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অসাধু কিছু কিছু আড়তদার পেঁয়াজ ও চালের মূল্য বৃদ্ধি করে রেখেছে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে গেলে দাম কমে, ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে আবার বেড়ে যায়। দু’ এক দিনের মধ্যে কার্গোতে করে দেশে পেঁয়াজ আসবে। নতুন পেঁয়াজও শীঘ্রই বাজারে আসবে। এসব পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসলে আমরা হার্ড লাইনে যাবো। অভিযুক্ত আড়তদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থ্া নেয়া হবে। অসাধু আড়তদারদের রক্ষা নেই। পেঁয়াজ ও চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকগণের নেতৃত্বে সদরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে এবং উপজেলা গুলোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

গতকাল (সোমবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভাসহ পৃথক পৃথক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস সভাগুলোর আয়োজন করে। বিগত সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তফা।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বিভিন্ন কারণে আদালতে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ায় জট লেগে আছে। ১৯৯২ সালের হত্যা মামলার আলামতও রয়ে গেছে। দেওয়ানি মামলা দীর্ঘ বছর ধরে চলমান থাকে, কিন্তু ফোজদারি মামলা যদি ২৭ বছরে ও নিষ্পত্তি না হয় তাহলে বিজ্ঞ পিপি’দের কোন ভূমিকা নেই। কোন্ মামলা কোন্ কোর্টে কতদিন ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে, সেগুলো জানানোর জন্য কোর্ট পরিদর্শককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পৃথক সভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিজিবি’র রিজিয়ন কমান্ডার ব্রি. জেনারেল আমিরুল ইসলাম সিকদার, বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (চট্টগ্রাম), আবুল ফজল মীর (কুমিল্লা), তন্ময় দাস (নোয়াখালী), এ.কে.এম মামুনুর রশীদ (রাঙ্গামাটি), মো. মাজেদুর রহমান খান (চাঁদপুর), মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম (বান্দরবান), অঞ্জন চন্দ্র পাল (লক্ষ্মীপুর), প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস (খাগড়াছড়ি), মো. ওয়াহিদুজ্জামান (ফেনী), হায়াত-উদ-দৌলা (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া), বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, ওয়াসা’র সচিব ড. পীযুষ দত্ত, ডিসি-ডিবি (বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেন, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর, এনএসআই’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইউসুফ আলী হাওলাদার, আনসার-ভিডিপি’র উপ-মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, ডিআইজি (প্রিজন) এ.কে.এম ফজলুল হক, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন, এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এএনএম এনায়েত উল্লাহ, দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ, সমাজকর্মী জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম জেলা পিপি এডভোকেট এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, চোরাচালান নিরোধ ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট হরিপদ চক্রবর্তী ও মহানগর পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল ইসলাম।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট