চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

শীলপাড়ার ‘পচা পুকুরটি’ হারিয়ে যাচ্ছে

১৯ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৪০ পূর্বাহ্ণ

২০১৮ সালের শেষ দিকে নগরীর পশ্চিম ষোলশহর নাজিরপাড়া এলাকার শীল পাড়ার চন্দন শীলের বসত-ঘরে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে ফায়ার সার্ভিস ওই এলাকার একমাত্র ‘পচা পুকুর’ থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশে পুকুর থাকায় সহজে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বর্তমানে সেই পুকুরটি হারিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পুকুরটি মাটি ও বালি দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে।

অভিযোগ রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই দু’শ বছরের পুরোনো এই পুকুরটি ভরাট করছেন মালিকদের একাংশ। প্রায় ২০ গ-া জায়গায় অবস্থিত পুকুরটি ইতোমধ্যে বাঁশের ঘেরাও দিয়ে অর্ধেক ভরাটও করা হয়েছে। পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে যেমন ঐতিহ্য হারাবে তেমনি অগ্নিদুর্ঘটনাসহ পানির উৎস সংকট দেখা দিবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরাসহ স্থানীয়রা।

প্রায় ছয় মাস আগ থেকেই পুকুরটি রক্ষায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সংস্থা এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় দিনে-রাতে ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে বাড়ি তৈরির জন্য প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু গতবছরেই ওই এলাকায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেনি। এর আগেও কয়েকবার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ২০০৬ সালেও বড় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে শীল পাড়ায়। তাতেও এই পচা পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্র্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পুকুর রক্ষার কাজ আমাদের নয়। তার জন্য আলাদা দপ্তর রয়েছে। তারা যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেন, তাহলে পুকুর ভরাট বন্ধ হবে’।

অন্যদিকে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ। তবে নিষিদ্ধ হলেও পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে পুকুর ভরাটের কাজ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট