কক্সবাজারের কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজার দিয়ে সবজি পরিবহনের সময় গর্জনিয়া ইউনিয়নের কৃষকেরা প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির কবলে পড়ছেন।

গর্জনিয়ার পশ্চিমবোমাংখিল গ্রামের কৃষক মনিরুল আলম, ফোরকান আহমদ ও জাকারিয়া বলেন, গর্জনিয়ার কৃষকেরা নিজেদের পণ্য রামু, উখিয়া ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করছেন। গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দিষ্ট হারে ইজারা দেওয়ার পরও গর্জনিয়া বাজার এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইজারাদাররা ফের টাকা নেন। এটা চাঁদাবাজি ছাড়া কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে গর্জনিয়া ইউপির রশিদ দেখালেও তারা কর্ণপাত করেন না। প্রতিবাদ করলে গর্জনিয়ার সাধারণ কৃষকদের গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। এ কারণে তাদের লোকসান হচ্ছে।

ব্যবসায়ী নুরুল কাদের বলেন, গর্জনিয়া ইউনিয়ন থেকে শাকসবজি, হাঁস, মুরগি, ছাগল কিনে রামু যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির কবলে পড়ছেন। এ কারণে তাদের লোকসান যাচ্ছে।

সবজি ব্যবসায়ী বেলাল আহমদ জানান, গত মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বার) ছোট একটি বস্তায় ভরে তরকারি আনতে তাঁকে গর্জনিয়া ইউনিয়নে ইজারার ধার্য ৫০ টাকার পরিবর্তে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ৬০ টাকা নেওয়া হলেও পার্শ্ববর্তী কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের প্রবেশ মূখে ইজাদার মো.শাহ আলম নাম ভেঙ্গে গর্জনিয়া বাজারের বিভিন্ন টোল আদায়ের (টোকেন) রসিদ ব্যবহার করে ৩০০ কেজিতে ৫০ টাকা করে দুই দফায় আরও ১১০ টাকা দিতে হয়েছে। গর্জনিয়া ইউনিয়নের সচেতন মহল- গর্জনিয়ার কৃষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পূর্বকোণ/পিআর