চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ধর্মীয় উৎসব মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করে। প্রত্যেক ধর্মের মূল মন্ত্র মানবতার কল্যাণে কাজ করা দেশপ্রেমে এগিয়ে যাওয়া। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে সমাজে বিরাজমান সকল অনাচার দূর হয়ে যাবে। মনুষ্যত্ব অর্জন ছাড়া মানুষের জীবনে সার্থকতা আসে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকল সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে এদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি গত সোমবার সন্ধ্যায় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে ও কেন্দ্রীয় রাস উৎসব উদযাপন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে চার দিনব্যাপী রাস মহোৎসবের ১ম দিনে ধর্মমহাসম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাবুল ঘোষ বাবুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মমহাসম্মেলনে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করে উদ্বোধন করেন স্বামী শক্তিনাথানন্দজী মহারাজ। আশীর্বাদক ছিলেন স্বামী লক্ষ্মী নারায়ণ কৃপানন্দ পুরী মহারাজ। মহান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের সেকেন্ড সচিব শুভাশীষ সিনহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুজিত কুমার বিশ্বাস, পরিষদের সাবেক সভাপতি ও রাউজান পৌর মেয়র দেবাশীষ পালিত, মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দে, এডভোকেট তপন কান্তি দাশ, এডভোকেট চন্দন তালুকদার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে, পরিষদের কার্যকরী সভাপতি ডা. মনোতোষ ধর, শিল্পপতি অলক দাশ, পরেশ চৌধুরী, চন্দন দাশ, রুমকী সেনগুপ্ত প্রমুখ। ধর্মীয় আলোচক ছিলেন শচীনন্দন গোস্বামী, লায়ন পিন্টু দাশগুপ্ত, অধ্যাপক রূপন ধর। সঞ্চালনায় ছিলেন গৌতম পালিত টিকলু। শুরুতে পবিত্র গীতাপাঠ করেন পলাশ কান্তি নাথ রণী। বিকালে ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন টিভি ও বেতার শিল্পীরা।-বিজ্ঞপ্তি