চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এনআইডি জালিয়াতি: ইসির আরও দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:৩৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের আলোচিত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি মামলার ঘটনায় নির্বাচন অফিসের আরোও দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় মীরসরাই নির্বাচন অফিস ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার মৃত আনু মিয়া ভুঁইয়ার ছেলে মো. আবুল খায়ের (৪৫), নোয়াখালীর মো. আরব আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫)।

এদের মধ্যে আবুল খায়ের বর্তমানে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় চট্টগ্রামে উচ্চমান সহকারি হিসেবে কর্মরত রয়েছে ও মো. আনেয়ার হোসেন মীরসরাই উপজেলা নিবার্চস অফিসে অফিস সহকারি হিসেব কর্মরত রয়েছেন।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের এনআইডি প্রদানের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দু’জনকে আজ দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনার যেসব তথ্য দিয়েছেন সেখানে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের আজ মীরসরাই নির্বাচন কমিশন অফিস ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করি।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট লাকী নামের এক নারী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এনআইডির স্মার্ট কার্ড তুলতে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ওই নারী রোহিঙ্গা এবং টাকা দিয়ে এনআইডি করিয়েছেন। পরদিন এ ঘটনায় মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ধরা পড়ে ইসির ডবলমুরিং থানার অফিস সহায়ক (পিয়ন) জয়নাল আবেদীন একটি ল্যাপটপ চুরি করে নিজ বাসায় বসে টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনকে এনআইডি তৈরি করে দিচ্ছেন।

এরপর মোস্তফা ফারুকও একই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরির কাজে নিয়োজিত বলে তথ্য আসে। মূলত ইসির খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ ব্যবহার করে এই জালিয়াতির কাজ তাঁরা করতেন।

২০১৪ সালে চন্দনাইশ কার্যালয় থেকে চারটি ল্যাপটপ খোয়া যায়। এ বিষয়ে তখন চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট