চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে কর দিন: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:২৯ অপরাহ্ণ

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে নিয়মিত কর দেয়ার আহবান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার সকালে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে ‘সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ব্যক্তি জীবনে যেমন স্বপ্ন না থাকলে, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাগাদা থাকেনা। তেমনি রাষ্ট্রীয় জীবনেও স্বপ্ন থাকতে হয়। কারণ, স্বপ্ন না থাকলে স্বপ্ন পূরণের তাগাদা থাকে না। এজন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন। তার স্বপ্ন হচ্ছে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে পুরোপুরিভাবে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করা এবং ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা। আমরা বাংলাদেশকে শুধু স্বপ্নের ঠিকানায় নয়, স্বপ্নের ঠিকানাও অতিক্রম করাতে চাই। আর সেটা করতে হলে আমাদের অবশ্যই কর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের এত সমৃদ্ধির মধ্যেও যে দিকটি নিয়ে আরো কাজ করার প্রয়োজন আছে সেটা হচ্ছে কর। আমাদের দেশের জিডিপির আকার গত পৌনে ১১ বছরে প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সাড়ে তিনগুন। কিন্তু সে হারে করদাতার সংখ্যা বাড়েনি। কর প্রদান করা দায়িত্ব। আমি মনে করি বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি মানুষ এখন কর দিতে সক্ষম। অন্যদিকে আমরা সবসময় উন্নয়ন চাই, কিন্তু কর দেই না। তাহলে সরকার উন্নয়ন কিভাবে করবে। আমাদের জিডিপিতে করের অবদান হচ্ছে ১০ থেকে ১১ শতাংশ। যেটি নেপালের চেয়েও কম। যারা আজ সেরা কর দাতা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন। আর কর প্রদানকারীদের উৎসাহিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেটিও প্রশংসনীয়। কারণ সেরা করদাতাদের এই সম্মাননা অন্যকেও উৎসাহিত করবে।’

বক্তব্য প্রদানের আগে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আয়কর মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক কর কমিশনার (কর অঞ্চল-২) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদের সভাপতিত্বে ‘সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, চট্টগ্রাম কর আইনজীবি সমিতির সভাপতি জামাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন (কর অঞ্চল-১), মাহাবুবুর রহমান (কর অঞ্চল-৩), ব্যারিস্টার মুনতাসির বিল্লাহ ফারুকী প্রমুখ।

যারা পেলেন সেরা করদাতার সম্মাননা

সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিনজন হলেন- এ কে খান গ্রুপের সালাহউদ্দিন কাশেম খান (বৃহৎ করদাতা ইউনিট), আবু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন খাঁন (বৃহৎ করদাতা ইউনিট) ও সদরউদ্দিন খাঁন (বৃহৎ করদাতা ইউনিট)।

এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কর প্রদানকারী দুজন হলেন এ.বি.এম.এ বাসেত ও আমজাদুল ফেরদৌস (বৃহৎ করদাতা ইউনিট)। সর্বোচ্চ করপ্রদানকারী মহিলা করদাতা মিস শামিম হাসান এবং সর্বোচ্চ তরুণ পুরুষ (৪০ বছর বয়সের নিচে) কর প্রদানকারী নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাহাদাত হোসেন। কক্সবাজারে দীর্ঘমেয়াদি কর প্রদানকারী দুজন করদাতা হলেন- হাবিবুল ইসলাম ও রফিকুল হুদা চৌধুরী। সর্বোচ্চ তিন করদাতা হলেন- আতিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু কাউসার ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা কামরুন নাহার। সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়সের নিচে তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী সাজ্জাদুল করিম। রাঙ্গামাটি জেলার দীর্ঘমেয়াদি কর প্রদানকারী হলেন- মো. আসাদুজ্জামান মহসিন। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিনজন হলেন লোকমান হোসেন তালুকদার, মো. রফিকুল আলম লিটন ও বদিউল আলম। সর্বোচ্চ করপ্রদানকারী মহিলা করদাতা মিস চিত্রা চাকমা এবং তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা হলেন তোফাজ্জল হোসেন। বান্দরবানের সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিনজন হলেন মোহাম্মদ নুরুল আবছার, অমল কান্তি দাশ ও আবদুস শুক্কর। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা মিস মে হ্লা প্রু। খাগড়াছড়িতে দীর্ঘমেয়াদি দুজন করদাতা হলেন- শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মো. শানে আলম। সর্বোচ্চ করপ্রদানকারী তিনজন হলেন- মিস ফরিদা আক্তার, স্বপন চন্দ্র দেবনাথ ও মো. নুর আলম। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা হলেন- মিস সুপর্ণা পাল। তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা হলেন মো. শওকত বাহার। সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত চট্টগ্রাম কর অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি দুজন করদাতা হলেন- মো. হাজী মুছা ও মো. কামাল উল্লাহ। সর্বোচ্চ করপ্রদানকারী তিনজন হলেন- মো. লোকমান, মোহাম্মদ সেলিম ও শেখ নবী। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা হলেন- মিস জান্নাতুল মাওয়া। তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা হলেন মো. জাহেদ চৌধুরী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট