চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময়

পালিয়েছে আরো ৩ ধর্ষক। গত বৃহস্পতিবার গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে রাত ৩ টায় উদ্ধার করে তার ঘরে পৌঁছে দেয়। এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) ধর্ষিতার সাথে সমঝোতা বৈঠকের নামে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে কৌশলে ধর্ষকদের সাথে ডেকে আনা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক ধর্ষকরা হচ্ছে, ফজল আহমদের পুত্র হাসান (২০), ইদ্রিসের পুত্র মোহাম্মদ মাসুদ (২০) ও লেদু আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ওসমান (২৮)। পলাতক ধর্ষকরা হল, জালাল আহমদের পুত্র মঞ্জুর আলম (২২), মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ সুমন (২৭) ও মোহাম্মদ এরফান (২৮)। তাদের সকলের বাড়ি কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামে। অধিকাংশ ধর্ষক পেশায় সিএনজি ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন গাড়ি চালক বলে জানা গেছে। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া থানা পুলিশ।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাট এলাকা থেকে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামস্থ তিতা গাজির মাজারে জেয়ারতে যায় তিন কিশোরী ও দুই কিশোর। পরে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি ট্যাক্সি থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে বাণীগ্রাম নতুন পোল এলাকায় বাঁশ ঝাড়ের কাছে জঙ্গলে নিয়ে যায়। অপর এক কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে অপহৃত কিশোরীকে জঙ্গলে কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে দেয়ার পর তারা ধর্ষণ করে। ওই সময় কিশোরীকে মারধর করে। পরে রাত ৩ টার দিকে বিবস্ত্র কিশোরীকে দুই সিএনজি ট্যাক্সি চালক একটি ঘর থেকে কাপড় এনে দেয় এবং তাকে ট্যাক্সিতে করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। গতকাল (মঙ্গলবার) ৩ ধর্ষককে আটকের পর পুলিশ তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ওই ঘটনায় কারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর অন্য আসামিদের আটকে অভিযান শুরুর কথা জানানো হয়েছে।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আরো দুই সিএনজি ট্যাক্সি চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে। তারা ওই ঘটনায় জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ নূর জানান, কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে গত সোমবার তাঁকে অবহিত করেন। এরপর তিনি কৌশলে ধর্ষকদের নাম ঠিকানা নিয়ে বৈঠকের নামে একস্থানে জড়ো করেন। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট