চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জিয়া হায়দার নাট্যপদকে ভূষিত রবিউল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

গ্রুপ থিয়েটার ‘নাট্যাধার’ প্রবর্তিত জিয়া হায়দার নাট্যপদক-১৯ এ ভূষিত হলেন মঞ্চাভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক রবিউল আলম। তিনি পেয়েছেন ১২তম জিয়া হায়দার নাট্যপদক। গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী নাট্যাধার নাট্যপার্বণের এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবিউল আলমের হাতে পদক তুলে দেন প্রধান অতিথি চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।

নাট্যাধারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল যাত্রার সভাপতিত্বে ও মঞ্চাভিনেতা দেবাশিস্ রুদ্রের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার লিটন ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু। অনুষ্ঠানের নাট্যজন রবিউল আলমের জীবনী পাঠ করেন মঞ্চাভিনেত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরী।

তির্যক নাট্য সম্প্রদায়ের অন্যতম উদ্যোক্তা নাট্যজন রবিউল আলম ১৯৪৬ সালের ৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম নাটক ‘বর সংকট’। জন্মস্থান বগুড়ার বারপুর গ্রামে। তবে নাটকের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন কর্মস্থল চট্টগ্রামে। অফিস পাড়ার নাটকের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন।

নাট্যচর্চার ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী নাট্যাধার নাট্যপার্বণ-১৯।
উৎসবের সমাপনীতে মঞ্চায়িত হয় নাটক ‘শিখ-ী কথা’। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আনন জামান রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন মোস্তফা কামাল যাত্রা। হিজড়া জনগোষ্ঠির যাপিত যন্ত্রণাময় জীবনচিত্র এ নাটকে ফুটে উঠে। হিজড়ারা কীভাবে পরিবার, সমাজ থেকে বিতাড়িত হয়, নিন্দা ও লজ্জিত জীবন কাটায় তাও প্রতিফলিত হয়। এই নাটকে একজন শিশু হিজড়ার অবুঝ চোখের চাহনী থেকে শুরু করে শাড়ি পরে বিচিত্র সাজা পোশাক, নাচ গান ঠাট্টা করার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট