চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হাসপাতালে কাতরাচ্ছে দগ্ধরা

জুলুসের গাড়িতে জেনারেটর বিস্ফোরণ, শিশুসহ আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ

জশনে জুলুসে অংশ নিতে এসে গাড়ির জেনারেটর বিস্ফোরণে শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তিনজন। খুলশী থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর লালখানবাজার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ওসি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে বাকলিয়া এলাকা থেকে একটি পিকআপে করে কিছু লোক এসেছিল। লালখানবাজার মোড়ে পিকআপে থাকা জেনারেটরে তেল ভরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এরা হলো নুরনবী (৬), কাউসার (২০), রফিকুল ইসলাম (৮), রিফাত (১০), ইয়াসিন (৯) ও হৃদয় (১৬)। এরা সকলেই বাকলিয়া থানাধীন তুলাতলী নুর হোসেন চেয়ারম্যানঘাটা এলাকার বাসিন্দা।

চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিক আহমদ বলেন, আগুনে দগ্ধ তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। দগ্ধ তিন জনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়েছে। অন্য দুজনের ১৫ ও ১১ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে আনজুমান-এ-রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে নগরীর ষোলশহরের আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া প্রাঙ্গণ থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। জুলুসের নেতৃত্বে ছিলেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্, সঙ্গে ছিলেন আল্ল­ামা শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ এবং আল্লামা শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ হামিদ শাহ্ এবং ট্রাস্টের উপদেষ্টা শিল্পগোষ্ঠী পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সকাল ১০টার দিকে জুলুস শুরু হয়। এসময় বিবিরহাট ও মুরাদপুর এলাকায় তিল ধারণের স্থান ছিল না। মানুষের ভিড় ঠেলে অত্যন্ত ধীরগতিতে জুলুসে নেতৃত্বদানকারীদের গাড়ি বহর এগিয়ে যায়। শোভাযাত্রাটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা, সিরাজুদ্দৌলাহ রোড, দেওয়ান বাজার, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, জামালখান হয়ে কাজীর দেউড়ি মোড়ে এসে সমাবেশ করে। সেখানে দোয়ার পর জুলুসের বহর ওয়াসার মোড়, জিইসি, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বিবিরহাট হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আখেরি মোনাজাত পরিচালিত হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট