চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সেন্টমার্টিন থেকে ফিরেছে পর্যটকরা

১২ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:২৯ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গতকাল সোমবার সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়ে বিকেলে পর্যটকদের নিয়ে ফিরে আসে। জাহাজ ৩টি হচ্ছে এমবি ফারহান, কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে অবস্থানকারী পর্যটকেরা দমদমিয়া জাহাজ ঘাটে ফিরে আসেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল মনছুর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ নুরুল আবছার, মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ ফিরে আসা পর্যটকদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন নেন। এসময় উৎফুল্ল পর্যটকেরা উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর সকালে টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৪টি জাহাজে করে ১ হাজার ১৯১ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে যান। এছাড়া ট্রলার ও স্পিডবোটে আরও দুই শতাধিক পর্যটক সেখানে যান। বিকেলে প্রায় ৬০০ পর্যটক টেকনাফে ফেরত এলেও ৬০০ পর্যটক সেখানে থেকে যান। এ ছাড়া বুধবার রাত যাপনের জন্য থেকে যাওয়া প্রায় ৪০০ জনসহ সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছিলেন ১ হাজার ২০০ পর্যটক। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া কিছু পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে টেকনাফে ফিরেছেন। সোমবার বেলা ১২টার দিকে ৪টি স্পিডবোট ও ৩টি কাঠের ট্রলার নিয়ে দেড় শতাধিক পর্যটক টেকনাফে পৌঁছান। এর মধ্যে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছেন।

কাঠের ট্রলারে আসা পর্যটক তৌহিদ আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পর আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় আমরা বন্ধুরা মিলে কাঠের ট্রলারে করে এসেছি। দ্বীপটি সাগরের মাঝখানে হওয়ায় ভয়টা খুব বেশি কাজ করছিল। তবে সেখানকার প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন অনেক সহযোগিতা করেছেন’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট