চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দখল হয়ে যাচ্ছে সড়কের দুইপাশ

১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ফুটপাতজুড়ে রাখা হয়েছে গ্যারেজের যন্ত্রপাতি, কাঠের গুঁটি, গ্রিল তৈরির ওয়ার্কশপের মেশিনারিজ ও গাড়ির টায়ার। সম্প্রতি চার লেনের সড়কটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে সড়কের দুইপাশে মানুষ চলাচলের জন্য নির্ধারিত জায়গা প্রায় দখল করে আছে স্থানীয় দোকানিরা। আবার দেখা যায় চার লেনের সড়কটির মধ্যে দুইলেনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামমুখী দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করে। পাশের দুই লেনে লোকাল যানবাহনগুলো চলাচল করে। কিন্তু সেখানেও দখল করে থাকে কিছু ভ্যান, মাহেন্দ্র ও সিএনজি ট্যাক্সি। দৃশ্যটি শাহআমানত সেতু সংযোগ সড়কের রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে কালামিয়া বাজার পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, চার লেনের সড়কের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু সড়কের মাঝখানে পৃথকিকরণের (বিভাজন) কাজ এখনো চলছে। কিন্তু এরমধ্যে প্রায় অর্ধ কিলোমিটারেরও বেশি সড়কের দুইপাশ দখল করে ব্যবসা করছে বিভিন্ন দোকানি। সড়কের একপাশে ব্যবসায়ীরা তাদের জিনিসপত্র রেখেছে আর অন্য পাশে চলছে গাড়ি পাকিং। যার কারণে নতুন ব্রিজ ও বহদ্দারহাটমুখী গাড়ি যাতায়াতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাকলিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর। আবার সড়কের মাঝখানে পৃথকিকরণ (বিভাজন) দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে কিছু গাড়ি প্রবেশ করে। এতে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনাও ঘটছে।

বাকলিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন আগে নতুন ব্রিজ থেকে আসা একটি মাহেন্দ্র সড়ক বিভাজনের মাঝখান দিয়ে হঠাৎ ঢুকে উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। অল্পের জন্য গাড়িটি রক্ষা পায়’।

স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হুদা বলেন, ‘আগে রাস্তাটির বেহাল দশা ছিল। তখন এলাকাবাসী খুব কষ্ট করে যাতায়াত করতো। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দারা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু রাস্তার দুই পাশে কিছু ব্যবসায়ী তাদের দোকানের মাল রেখে দখল করে ফেলছে। যা খুব দুঃখজনক। আমরা চাই এদের এখনি বাঁধা দেয়া হোক। যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে ফুটপাত দিয়ে যাতায়াত করতে পারে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট