চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেন্টমার্টিনে আটকা দেড় হাজার পর্যটক আতঙ্কে

অনলাইন ডেস্ক

৯ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:৪৮ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারণে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ না ছাড়ায় দেড় হাজার পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন। এতে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে আটকা পড়া অনেক পর্যটক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগও বেড়েছে। দ্বীপে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়টা বেশি কাজ করছে তাদের মাঝে। 

শনিবার দুপুরে দ্বীপে আটকাপড়া বেশ কয়েকজন পর্যটকদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে। অনেকে একদিনের টাকা নিয়ে এখানে ভ্রমণে এসেছি, এখন টাকাও শেষ। 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ জানিয়েছেন, ‘দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের হোটেল ও খাবার বিল ডিসকাউন্ট দিতে সকল হোটেল-মোটেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত থেকে দ্বীপে বৃষ্টি ও বাতাস বেড়েছে। এজন্য পর্যটকদের রুম থেকে কাউকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপের চারদিকে সমুদ্র সৈকতে যাতে কোন পর্যটক না নামে, পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। যারা প্রথমবারের মত সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসেছে, তাদের মধ্যে কিছু লোকজন ভয়ের মধ্যে রয়েছে বলে শুনেছি। তবে দ্বীপে বেড়াতে এসে আটকা পড়া পর্যটকদের সার্বক্ষণিক খোজঁ খবর নেওয়া হচ্ছে।’  

সমুদ্র উত্তাল থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এক হাজারের বেশি পর্যটক টেকনাফে এসেও সেন্টমার্টিন দ্বীপে না যেতে পারেননি। তবে এর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছেন দেড় হাজার পর্যটক। এদিকে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। এ কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, ‘এখনও ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বীপে বেড়াতে এসে আটকা পড়া পর্যটকদের খোজঁ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজমীর ইলাহি বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে। 

সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, ইউএনও নির্দেশে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের ডিসকাউন্ট দেওয়ার সিন্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী সবার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হবে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপের পর্যটন ব্যবসায়ীদের দেড় কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা যাতে কোনভাবে হয়রানির শিকার না হয়, সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে থাকে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সেন্টমার্টিনের পাচঁটিসহ মোট ৬৫টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট