দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসাকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সুজন। তিনি সম্প্রতি দেশের প্রাচীনতম দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক কাউন্সিলের সাথে মতবিনিময়ে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

সুজন আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সেভাবে দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসাকেও গড়ে তুলতে হবে। মাদরাসার সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সে লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষকের শিক্ষা কার্যক্রমকে বছরওয়ারী মূল্যায়ন করা হবে এবং সেভাবেই তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। তিনি মাদ্রাসার কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান। মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্রদের সামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার জন্য তাদের রক্তের গ্রুপ ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করার অনুরোধও জানান তিনি। এতে করে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্ররা মানবিক মূল্যবোধে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবেন।

তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষার আগে স্পেশাল কোচিং করানোর জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান এবং যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের জন্য প্রয়োজনে বাহির থেকে শিক্ষক এনে কোচিং করানোর প্রস্তাব দেন। এছাড়া মাদ্রাসা থেকে পাশ করে যারা ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পাবে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ভর্তির টাকাও মাদ্রাসা থেকে দেয়ার ঘোষণা দেন। কোন অবস্থাতেই জঙ্গি তৎপরতার সাথে যুক্ত কোন ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রম মাদ্রাসায় চলতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সুজন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকীসহ শিক্ষক প্রতিনিধিবৃন্দ।-বিজ্ঞপ্তি।

পূর্বকোণ/রাশেদ