চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রেলের দেড়শ কোটি টাকার জায়গা উদ্ধার

দিনভর অভিযানে হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:০৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পাহাড়তলীর আমবাগানের রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীন জায়গা থেকে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। এতে প্রায় সাড়ে ৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর পাহাড়তলী আমবাগান ও রেল কলোনি এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। অভিযানে এক হাজার ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় সাড়ে ৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া জমির মূল্য প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা বলে জানায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম পূর্বকোণকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেলওয়ের জমি দখল করে টিনশেড, সেমিপাকা ও আধা সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ১ হাজার ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। রেলওয়ের জমি উদ্ধারে এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে অবৈধ জায়গা দখল করে বসবাসরতরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। এখানে যারা থাকে, সবাই সমাজের নিম্ম স্তরের মানুষ। কেউই এখানে বিনা টাকায় বসবাস করে না। যারা দখল করে আমাদের কাছ থেকে এতদিন ভাড়া খেয়েছে তাদের তো কোন সমস্যা নেই। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে আমাদের মত গরীবদের।’ এ সময় দখলদারদের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘ রেলের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বছরের পর বছর জায়গাগুলো দখলে নিয়ে ভোগ করে আসছে কয়েকটি চক্র। চক্রগুলোর টাকার পাহাড় আর রাজনৈতিক ক্ষমতার কাছে ধর্ণা দিয়ে চুপ থাকেন কর্মকর্তারা। পরে জায়গা দখলে নিয়ে টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করেন তারা। তাছাড়া এই অবৈধ জায়গায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগও আছে। কীভাবে মিলছে এই সংযোগ ? সবই টাকার খেলা। টাকা দিলে এদেশে বাঘের চোখও পাওয়া যায়। সম্পদতো কিছুই না। যত দোষ সবতো গরীবরাই করে। তাইতো উচ্ছেদে ক্ষতি হয়েছে শুধু আমাদের। আর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন রাঘব-বোয়ালরা।’ এ সময় জড়িত কর্মকর্তাদের ও চক্রগুলোর মূল হোতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে তাদের নাম জানাতে পারেন নি।
উচ্ছেদে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের সাথে উপস্থিত ছিল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট