প্রসাধন সামগ্রী ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি চালানে পাওয়া গেছে সিসা। অনুমোদিত মাত্রার চেয়েও দ্বিগুনের বেশি নিকোটিন থাকায় আনীত এই সিসাকে মাদক হিসেবে বিবেচনা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার খালাস পর্যায়ে ঘোষণা বহির্ভূত এই পণ্য চালানটি আনার বিষয় ধরা পড়লে তা আটক করা হয়।
কাস্টমস সূত্র জানা যায়, রাজধানীর বীরেন বোস স্ট্রিটের প্রিমিয়ার ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই সিসা আমদানি করে। তবে আমদানি পণ্য তালিকায় সিসার নাম ছিল না। গত ৯ অক্টোবর আমদানি চালানটি খালাসের জন্য নথিপত্র জমা দেন আমদানিকারক। আজ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তারা ওই চালানটির নমুনা নিয়ে যান।
কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় চালানটিতে ৫৪ কেজি সিসায় দশমিক ৫ শতাংশ নিকোটিন পাওয়া গেছে। সিসায় দশমিক দুই শতাংশের বেশি নিকোটিন পাওয়া গেলে তা মাদক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ কারণেই মাদক হিসেবে চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়েছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।যদিও সিসায় দশমিক দুই শতাংশের কম নিকোটিন থাকলে তা শর্তসাপেক্ষে আমদানি করা যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্টো অঞ্চলের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৮ অনুযায়ী তিন শ্রেণির মাদক চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় ‘খ’ শ্রেণির মাদক সিসা। সিসা হলো বিভিন্ন ধরনের ভেষজের নির্যাসসহ দশমিক দুই শতাংশের বেশি নিকোটিনযুক্ত এবং এসেন্স ক্যারামেল মিশ্রিত পদার্থ।
পূর্বকোণ-এস-রাশেদ