চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজানে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে জামিনপ্রাপ্তরা

ঘটনার দুইবছর পূর্ণ হচ্ছে আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা হ রাউজান

২ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:১৮ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের কদলপুরে সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের ঘটনার দুইবছর পূর্ণ হচ্ছে আজ শনিবার। তবে এই দুই বছরেও হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে বাদির অভিযোগ, জামিনে থাকা আসামিরা পলাতক আসামিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে গত প্রায় দুইবছর আগে (২০১৭ সালের ২ নভেম্বর বিকেলে) বড় ভাই, ছোট ভাইদের হাতে খুন হন উপজেলা কদলপুর আলম বাড়ির মৃত ইসহাকের ছেলে প্রবাসী মহিন উদ্দিন চৌধুরী। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাম্মৎ আকলিমা খানম ওরফে কোহিনুর বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা আসামিরা হলেন, নিহতের বড় ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ছোট ভাই আব্দুল মান্নান

চৌধুরী, ইজবাব উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল মান্নানের স্ত্রী আইরিন আক্তার সেতু, ইজবাব উদ্দিনের স্ত্রী আয়শা আক্তার। নিহতের স্ত্রী মোছাম্মৎ আকলিমা খানম ওরফে কোহিনুর বলেন ‘আমার স্বামী হত্যার দুইবছর হতে চললেও এখনো মূল দুইজন আসামি পলাতক রয়েছে। জামিনপ্রাপ্তদের সঙ্গে পলাতকদের যোগাযোগ আছে। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।’ তিনি আরো বলেনে ‘আমি চাই আমার দুই সন্তানের বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’ বাদি জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ছোট ভাই মামলার ১ নম্বর আসামি আব্দুল মন্নান ও ৩ নম্বর আসামি ইজবাব উদ্দিন। ঘটনার পর জসিম উদ্দিন গ্রেপ্তারের পর জামিনে আসে। অন্য দুইজন আইরিন আক্তার সেতু ও স্ত্রী আয়শা আক্তার জামিন পান।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি সিআইডি’র তদন্তকারী দলের চট্টগ্রাম মেট্রো সিআইডি’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মকর্তা কৃষক কমল ভৌমিক হত্যা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারের প্রার্থনা জানানো হয়েছে বিজ্ঞ আদালতে।

উল্লেখ্য যে, মামলার এজাহারে জানা যায়, ভিকটিম মহিম উদ্দিন চৌধুরীর (৪৮) সঙ্গে তার বড় ভাই, ছোট ভাইদের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। গত ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর তার মা হাসিনা বেগমকে (৭৫) নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন সম্পত্তির বিরোধের ব্যাপারে কথাবার্তা বলার জন্য। এক পর্যায়ে ভিকটিমকে ১ নং বিবাদি মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ২নং বিবাদি ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করায় ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। ভিকটিমের চিৎকারে বাদি (নিহতের স্ত্রী) এগিয়ে গেলে ১ ও ২ নং বিবাদি তাকেও মারধর করে। এরপর চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নিহতের মা হাসিনা বেগম ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট