উপজেলার শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.) খালের ওপর স্থাপিত সেতুটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১ বছর অতিক্রান্ত হলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার বরুমচড়া ও জুঁইদ-ী ইউনিয়নবাসীর একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হলো লাল মোহাম্মদীয়া সড়ক। ওই সড়কে শাহ্ মোহছেন আউলিয়া খালের ওপর রয়েছে একটি সেতু। গত বছরের বর্ষায় জোয়ারের পানিতে সেতুটির দুপাশের মাটি ভেঙে খালে বিলিন হয়ে যায়। এতে ভোগান্তি শিকার হচ্ছে সাধারণ পথচারীরা। স্থানীয়রা গাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া লাল মোহাম্মদীয়া সড়কের পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বেহাল অবস্থা। বরুমচড়া ও জুঁইদ-ী ইউনিয়নের শত শত মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় বেকায়দায় রয়েছে স্থানীয়রা। জুঁইদ-ী ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ সড়ক হয়ে বরুমচড়া ভূমি অফিস ও তৈলারদ্বীপ সরকারহাটের পশুর বাজারসহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করে। বরুমচড়ার বাসিন্দারা এ সড়ক দিয়ে খুরুস্কুল হয়ে বটতলী রুস্তমহাটে যায়। এক সময় এ সড়কে অটোরিকশা, মিনি ট্রাকসহ ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করত। কিন্তু সংস্কারের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের ওপর দিয়ে বৃষ্টি ও শঙ্খের জোয়ারের পানি উঠানামা করায় ইটগুলো সরে গিয়ে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের মাঝখান দিয়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর। এদিকে পানি চলাচল করায় সড়কের একমাত্র সেতুটির উভয়পাশ থেকে মাটি সরে গেছে।
ব্রিজটি খালের মাঝখানে। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে বরুমচড়া সওদাগর দীঘির পাড় থেকে খুরুস্কুল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে ইট বিছানোসহ সেতুটি পাকা করা হয়। এরপর থেকে ওই সড়ক ব্যবহার করে নিরাপদে চলাচল করছিল বরুমচড়া ও জুঁইদ-ী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। গত বছরের বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি উঠানামার কারণে সেতুটি ধসে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে একবছর পেরিয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বরুমচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহাদত হোসেন চৌধুরী জানায়, সড়ক ও সেতু সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান জানান, লাল মোহাম্মদীয়া সড়ক ও সেতুর প্রাক্কলন তৈরি করে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। দ্রুত সড়ক ও সেতুটি নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।