চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিচার দাবিতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর

সুদের টাকার জন্য ছেলের সামনে মা ও স্ত্রীকে মারধর, অপমানে ছেলের আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা হ পটিয়া

২৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সুদের টাকার জন্য মা ও স্ত্রীকে মারধর করেছে কয়েক প্রতিবেশী। গত শুক্রবার মা ও স্ত্রীকে মারধরের অপমানে বিষপান করেন সুমন আচার্য্য (৩৭) নামে এক মৃৎশিল্পী। এরপর গত মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থা চমেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের মৃত উত্তম আচার্য্যর পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে আনোয়ারা উপজেলার পটিয়া ও আনোয়ারা সীমান্তবর্তী কালীগঞ্জ সেতু এলাকায়। এদিকে ওই ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। গতকাল কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট বাজার এলাকায় এমানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পটিয়া-আনোয়ারা সীমান্তবর্তী কালীগঞ্জ সেতু এলাকায় হরি মন্দিরের পাশে সপরিবারে বসবাস করছে মৃৎশিল্পী সুমন আচার্য্য। পটিয়া উপজেলার এলাকার বাসিন্দা বাচা মিয়া, বেলাল মেম্বার ও আনোয়ারা উপজেলার নুর জাহান, লিমা আকতার সায়রা, মোহাম্মদ সুলতানএকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সাপ্তাহিক ও মাসিক সুদে সুমন আচার্য্য ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর বিনিময়ে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে প্রতিমাসে ৯ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেছে সুমন। গত আগস্ট মাসে আসল টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার পরিশোধ করে। কিন্তু দুই মাস ধরে সুদের টাকা দিতে না পারায় গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে হরি মন্দিরে নুরজাহান, লিমা আকতার সায়রা, মোহাম্মদ সুলতান একসাথে এসে সুমন আচার্য্যরে সামনে তার মা লিলি আচার্য্য ও তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী তৃষ্ণা আচার্য্যকে মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ওই ঘটনায় অপমানে শুক্রবার সকাল ১০টার সময় সুমন আচার্য্য বিষপান করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিনি গত মঙ্গলবার রাতে মারা যায়।

নিহতের মা লিলি আচার্য্য জানান, গত শুক্রবার সকালে নুরজাহান, লিমা আকতার সায়রা, মোহাম্মদ সুলতান হরি মন্দিরে এসে আমার ছেলের সামনে আমাকে ও ছেলের স্ত্রীকে মারধর করে। আমার ছেলে আমাদেরকে মারধর ও অপমানে বাড়ির পিছনে গিয়ে বিষপান করে। আমার ছেলে যাদের কারণে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
আনোয়ারা থানার এসআই মোহাম্মদ মজিবুল জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে মৃত্যুর পরিবেশ সৃষ্টি অপরাধে মামলা দায়ের করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট