চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডা. শাহ আলম হত্যা মামলার আসামি ডাকাত কালু নিহত

সীতাকু- হ র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হ সামাজিক কবরস্থানে দাফন না করার সিদ্ধান্ত গ্রামবাসীর

নিজস্ব সংবাদদাতা হ সীতাকু-

২৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ

সীতাকু-ে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নামের এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ও হত্যাকারী নিহত হয়েছে। র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)’র সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে নিহত হয়। তার বিরুদ্ধে সীতাকু- থানায় ডাকাতি মামলাও রয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ নজির আহমেদ সুমনের লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহত ডাকাত কুমিরা এলাকায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহ্্ আলম হত্যার প্রধান আসামি বলে জানিয়েছেন র‌্যাব। সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার সময় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালুর শরীরে গুলি লেগে নিহত হয়। সীতাকু- থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন শাওন বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশটি আমরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজির আহমেদ সুমন কালুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ২৭টি গুলি ও দুটি পিস্তল জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, নিহত নজির আহমেদ উপজেলার কুমিরায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার প্রধান আসামি। সে বাড়বকু- ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার মো. আবুল হোসেনের পুত্র। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনের মধ্যে গত মঙ্গলবার সকালে এ মামলার আসামি লেগুনা গাড়ি চালক মো. ফারুক নামে এক ছিনতাইকারীকেও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এর পরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রহস্য বের হয়ে আসে। এদিন সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃত ফারুক চিকিৎসক শাহআলম হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ফারুক বাড়বকু- ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার মো. আইয়ুব আলীর পুত্র। এদিকে র‌্যাবের চাদগাঁও ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাদের কাছে। উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ডাকাত নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল সেখানে গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ওই এলাকায় গেলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নজির আহমেদ সুমন তার দলবল নিয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে নজির আহমেদকে একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখা যায় । পরে পুলিশের এসআই সাইফুদ্দিন শাওন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নজির আহমেদকে সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি বলেন, মামলার আসামি নজির আহমেদকে মূল হোতা হিসেবে শনাক্ত করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলার র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত লেগুনা চালক ফারুক। এদিকে বন্দুকযুদ্ধের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহ্্ আলম হত্যার প্রধান আসামি নিহতের খবর শুনে সরেজমিনে তার গ্রামের বাড়ি এলাকায় গেলে ওই এলাকার সর্দার মো. মোস্তফাসহ একাধিক লোকজন নিহত নজির

আহমেদকে অনেক আগে থেকে ডাকাত হিসেবে জানতেন। তারা বলেন, নজির আহমেদ কালু অল্প কিছুদিন আগেও ডাকাতি মামলায় জেল খেটে এসেছে। তারপরও এ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে আমরা শুনেছি। এ সমাজে হত্যাকারী ও ডাকাতের কোনো স্থান নেই। তাই আমরা সামাজিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে সমাজের কবরস্থানে দাফন করতে দেওয়া হবে না।

তার বাড়ি এখানে হলেও সে সমাজের সাথে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। সে মারা গেলেও তার স্থান এ গ্রামে নেই। বর্তমানে সে এ গ্রামে বসবাস করে না। বাইরে বাইরে রাত যাপন করে। হঠাৎ করে তাকে গ্রামে দেখা যায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট