অননুমোদিত রং, ফ্লেভার ব্যবহার এবং মোড়কে যথাযথ তথ্য না থাকার কারণে এক বেকারি সিলগালা করে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে একই অপরাধ বারবার করায় বন্দর থানার ওয়াশিল চৌধুরী পাড়ার নয়ন বেকারিটি সিলগালা করে দেয়া হয়। অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, বিকাশ চন্দ্র দাস (মেট্রো) এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাজার তদারকিমূলক এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ১ লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় তিন ফার্মেসিকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ইপিজেডের বাদামতলা এলাকার শুভ মেডিক্যাল হলকে ৫ হাজার টাকা এবং খুলশীর চাঁদমারী সড়কের সিকদার ফার্মেসি ও প্রকাশ ফার্মেসিকে ৮ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে পরিচালনাকালে ছাপা নিউজপ্রিন্ট দিয়ে তৈরি কেক, অননুমোদিত রং, ফ্লেভার, মেয়দোত্তীর্ণ ওষুধ, প্যাকেটজাত দুধ, কোমলপানীয় ও খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ইপিজেড থানার কলসিদীঘি রোডের মালাই ফুডকে পণ্যের মোড়কে যথাযথ তথ্য না দেয়ায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কোমলপানীয় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আল্লাহর দান ভাতঘরকে ছাপা নিউজপ্রিন্টে খাবার সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অননুমোদিত ফ্লেভার ব্যবহারের জন্য বন্দর থানা এলাকার মিতালী বেকারিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ৮০ কেজি কেক ধ্বংস করা হয়। লালখান বাজারের বাঘঘোনা এলাকার শামীম অ্যান্ড ব্রাদার্স ও হক স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় ৫ হাজার টাকা করে জরিমানাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেটজাত দুধ ও খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও অননুমোদিত রং বিক্রি করায় আজিজ স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। এ ধরনের বাজার তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান হাসানুজ্জামান।

পূর্বকোণ/আল-আমিন