চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লেগুনা চালকের স্বীকারোক্তি

ছিনতাইকারীরা হত্যা করেছে ‘গরীবের ডাক্তার’কে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:২২ পূর্বাহ্ণ

সীতাকু-ের মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা চিকিৎসককে ছিনতাইকারীরা হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

চিকিৎসককে বহনকারী লেগুনার চালককে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব কর্মকর্তারা এ দাবি করেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে লেগুনা চালক মো. ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সীতাকু-ের বাড়বকু- এলাকা থেকে লেগুনাটি জব্দ করা হয়। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আজিজ জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে চালক ফারুক মহানগর হাকিম শিপলু কুমার দে’র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গত শুক্রবার সকালে কুমিরা ঘাট ঘর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ জানতে পারে উদ্ধার করা লাশটি শাহ আলম (৫৫) নামে এক চিকিৎসকের। কুমিরা থেকে নিজ চেম্বারে কাজ সেরে রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় বাসায় ফেরার পথে তাকে খুন করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দেয় গাড়িতে যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা। র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান, লাশ উদ্ধারের পর থেকে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে মঙ্গলবার ভোরে স্টেশন রোড এলাকা থেকে চালক ফারুককে গ্রেপ্তার ও তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়বকু- থেকে লেগুনাটি জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, চিকিৎসক শাহ আলম কুমিরায় ‘গরীবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত ছিলেন। সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি দেশে এসে কুমিরায় হাসপাতাল তৈরি করে রোগীদের সেবা দিতেন। বৃহস্পতিবারও তিনি চেম্বার সেরে ‘বিন মনসুর পরিবহন’ নামে একটি লেগুনায় উঠেছিলেন নগরীর চান্দগাঁওতে তার বাসায় আসার জন্য।

তারেক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসক শাহ আলম ওই বাসে উঠার সময় চালক ছাড়া আর দুইজন যাত্রী ছিলেন। এরপর সীতাকু-কে-বাই এলাকায় গেলে আরও দুইজন উঠেন লেগুনাটিতে। রয়েল গেইট এলাকায় আসার পর গাড়িতে থাকা অপর চারজন চিকিৎসক শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়িতে থাকা চারজনের সাথে চিকিৎসক শাহ আলমের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তারা শাহ আলমকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ঘাট ঘর এলাকায় লাশ ফেলে দেয়। ফারুকের দেয়া জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান, শাহ আলমকে মারার আগে ওই লেগুনাটিতে আর কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের জন্য গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলেন। ওইদিন তারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করেছিল। শাহ আলমকে রাস্তায় ফেলে দেয়ার পর লেগুনাটি বাড়বকু-ের দিকে চলে যায় এবং সাগর পাড়ে গিয়ে লেগুনাটি ধুঁয়ে ফেলে। জবানবন্দিতে ফারুক অন্যদের নাম জানালেও তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করেনি র‌্যাব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট