চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০১৯ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, সাত রাউন্ড কার্তুজ ও তিন হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (২০ অক্টোবর) গভীররাতে মেরিনড্রাইভ সড়কের মহেশখালীয়া পাড়া সংলগ্ন নৌ-ঘাট এলাকায় ও টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাফ নদের উনচিপ্রাংসংলগ্ন মদিনা জোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মো. রহিম উদ্দিন ওরফে রফিক (৩৭) ও মো. আজিজ (২৪)। পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি মতে, তাকে নিয়ে মহেশখালীয়া পাড়ার নৌ-ঘাট এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। একপর্যায়ে সশস্ত্র ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আজিজকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালানো হলে একটি এলজি বন্দুক, সাত রাউন্ড কার্তুজ এবং তিন হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

ওসি আরো বলেন, গুরুতর আহত আজিজ এবং পুলিশ সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আজিজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।

টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান জানান, উনচিপ্রাং বিওপির একটি বিশেষ টহল দল মদিনার জোড়া এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় কয়েকজনকে নৌকা নিয়ে নাফ নদ পার হতে দেখে নদের কিনারায় আসার সঙ্গে সঙ্গে টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে।

এ সময় ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা টহল দলকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। এতে দুই বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

পরে টহল দল ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুইটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। আহত বিজিবির দুই সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট