চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সড়ক যন্ত্রণার দুঃখ ঘুচল চাক্তাইয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:২০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যম চাক্তাই এলাকার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের দুঃখ ঘুচালেন কাউন্সিলর নুরুল হক। চাক্তাই খালের তীরঘেঁষা সড়কটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ সহ্য করে আসছে ব্যবসায়ীরা। এর আগে বাণিজ্য এলাকাখ্যাত চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, যুগ যুগ ধরে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে আসছে। এখনো চাক্তাই ও রাজাখালী খালকে ঘিরে মালবোঝাই বাণিজ্য বোট চলাচল করে। চাক্তাই খালের তীরঘেঁষা মধ্য চাক্তাই থেকে চামড়া গুদাম পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অযতেœ-অবহেলায় পড়ে ছিল। যার জন্য হাজার হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সহ্য করতে হয়েছে। শেষতক কাউন্সিলর ও প্রবীণ ব্যবসায়ী হাজি মো. নুরুল হক সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
ঠেলাগাড়ি চালক কামাল উদ্দিন বলেন, কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপ, হাতিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো নৌপথে মালামাল পরিবহন করা হয়। কিন্তু খালের তীরের সড়কটির নাজুক অবস্থার কারণে আমাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। খানাখন্দেভরা সড়কের কারণে মালবোঝাই ভ্যান, ঠেলা, রিকশা চলাচল দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘদিনের কষ্ট এখন লাঘব হয়েছে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা জানায়, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের যানজট কমাতে চাক্তাই খালের তীরে নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কটি নির্মাণের পর নৌবাণিজ্য ও ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের চলাচলে সুবিধা হয়। কিন্তু গত বর্ষায় পানির তোড়ে এবং অতি ব্যবহারের কারণে সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হয়। এতে বিপাকে পড়ে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। শেষপর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের পর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয় বাণিজ্যপাড়ার ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা জানান, কাউন্সিলরের তদারকিতে টেন্ডারপ্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সংস্কার কাজ সবকিছুই দ্রুততার সঙ্গে করা হয়েছে। কাউন্সিলর নিজে দাঁড়িয়ে কাজের তদারকি করছেন। এতে ব্যবসায়ীমহলে প্রশংসা বাড়ছে তার।

কাউন্সিলর নুরুল হক জানান, ‘আমি নিজেও একজন ব্যবসায়ী। একটি সড়কের জন্য ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা দুর্ভোগ ভোগ পোহাবে এবং নৌ-বাণিজ্য বিঘিœত হবে তা হয় না। তাই প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে নিজের কাজের মতো করে নিয়েছি।’

কাউন্সিলর আরও বলেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের অলিগলির সব ধরনের নালা-ড্রেন খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। যারফলে এখন আর আগের মতো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় না। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার অভিশাপ মুক্ত করা ছিল আমার বড় চ্যালেঞ্জ। সেই অভিশাপ থেকে বাণিজ্যপাড়া চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ অনেকটা রেহাই পেয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, কাউন্সিলর জাত ব্যবসায়ী বলে বাণিজ্যপাড়ার উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, রাজাখালী, নতুন ব্রিজ এলাকায় যানজট দেখলেই ট্রাফিকের মতো রাস্তায় নেমে পড়েন। আবার নালা-ড্রেন বা সংস্কার কাজের সময় তিনি শ্রমিকের মতো রাস্তায় পড়ে থাকেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট