চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সাথে বন্দরের চুক্তি সই

ঈগল রেলে কন্টেইনার যাবে এক ইয়ার্ড থেকে অন্য ইয়ার্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার এক ইয়ার্ড থেকে অন্য ইয়ার্ডে ঈগল রেলের মাধ্যমে নেওয়ার ফিজিবিলিটি স্টাডি বা সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর ভবনে এ চুক্তি সই হয়। চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ বন্দরের পক্ষে এবং মি. মাইক ঈগলরেল কনটেইনার লজিস্টিকসের পক্ষে সই করেন।

ঈগল ট্রেনের মাধ্যমে ঘণ্টায় ২০ ফুট দৈর্ঘের ৩০০ কনটেইনার এক ইয়ার্ড থেকে অন্য ইয়ার্ডে নেয়া যাবে। ঈগল ট্রেন চালু হলে বন্দরের অভ্যন্তরে চলাচলকারী ট্রাক, লরি এবং কাভার্ডভ্যান চলাচল করতে হবে না। ফলে কমবে বিমানবন্দর সড়কের যানজট।

উন্নত বিশ্বের বন্দরগুলোতে দ্রুত ও নিরাপদে কনটেইনার হুক পয়েন্ট থেকে দূরের ইয়ার্ডে বা টার্মিনালে নিয়ে যেতে ঈগল রেল ব্যবহার করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির ঈগলরেল ব্যবহার হলে কনটেইনার মুভমেন্ট কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে। এই পদ্ধতিতে বিদ্যুতিক রেল ট্রেকের মাধ্যমে ৪০ ফুট উপর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন করা যাবে। স্বাভাবিক ট্রেন যেখানে রেললাইনের ওপর দিয়ে চলে, সেখানে ঈগল কনটেইনার ট্রেন যাবে রেললাইনের নিচে ঝুলন্ত অবস্থায়।

ঈগলরেলর চুক্তিসই অনুষ্ঠানে কনটেইনার লজিস্টিকসের মি. স্কট, মিসেস সানিয়া, মাসুদ জামিল খান, এম সামায়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম ছাড়াও বন্দরের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (পরিবহন) মো. এনামুল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, প্রধান পরিকল্পনাবিদ মাহবুব মোরশেদ, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মির্জা রাকিবুল ইসলাম, উপ-সচিব আজিজুল মাওলা প্রমুখ।

বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) মো. এনামুল করিম বলেন, ঈগল রেলের সাহায্যে কনটেইনার পরিবহনের সুবিধাদি ও খরচ সম্পর্কিত স্টাডি করার জন্য সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। এ স্টাডিতে ঈগল রেলের ট্র্যাক কোন কোন পথে যাবে, জায়গা কেমন লাগবে, পাওয়ার সাপ্লাই, পরিবেশবান্ধব কিনা, যানজট কমবে কিনা, কস্ট ইফেকটিভ হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ প্রতিবেদন দেওয়া হবে। বুয়েট বিশেষজ্ঞ স্টাডি পর্যবেক্ষণের পর সুবিধাজনক মনে হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ ঈগল রেল প্রকল্প চালু করবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট