চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

জব্দ যানের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ

কনস্টেবল পলাশ সাসপেন্ড

নাজিম মুহাম্মদ

১৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

জব্দ করা যানবাহনের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে কনস্টেবল পলাশ চন্দ্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নগর পুলিশের যানবাহন শাখার (এমটি) উপ-কমিশনার মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গভীর রাতে নগরীর লালদিঘির পাড়ে নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে জব্দ করা গাড়ি থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক পূর্বকোণে ‘পুলিশের হাতে পুলিশ ধরা’ শিরোনামে এ সংক্রান্তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

উপ কমিশনার (এমটি) মোখলেছুর রহমান জানান,ঘ টনার পর পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়। গোয়েন্দা কার্যালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা কনস্টেবল পলাশের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। এর পর পরই মূলত তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত পলাশ লালদিঘির পাড়ের গোয়েন্দা কার্যালয়ে গভীর রাতে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার রাতে আমার অন্য একটি প্রাইভেটকার পুলিশ লাইনে রেখে ওই গাড়ির চালক স্বপনকে নিয়ে স্টেশন রোডের হোটেল নিজামে রাতের খাবার খেতে যান। খাওয়া দাওয়া শেষে স্বপন চলে যায়। আমি সিনেমা প্যালেসে ওখানে গাড়ির চাকায় বাতাস দিতে যাই। এসময় আমার প্রকৃতির ডাক আসলে কার নিয়ে লালদিঘির পাড়ে নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে যাই। রাত তখন প্রায় দুটো বাজে। গেটে যথারীতি নিজের পরিচয়ও দিয়েছি।

পলাশ বলেন, প্রাকৃতিক কর্ম শেষ করে ফেরার পথে জব্দ করা একটি প্রাইভেটকারের ভেতর কিছু একটা জ্বলতে দেখি। আমার মনে হয়েছে সাপের মাথায় মনি-মুক্তা জ্বলছে। তাই ‘সরলমনে’ অন্ধকারে প্রাইভেট কারের ভেতর ঢুকি।

নগরীর লালদিঘির পাড়, মনসুরাবাদ, ষোল থানায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে বিভিন্ন মামলায় জব্দ করা দামী প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেলসহ নানা ধরনের যানবাহন। সচল অবস্থায় যানবাহনগুলো জব্দ করা হলেও কিছুদিন যেতে না যেতে দেখাযায় যানবাহনগুলোর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ধীরে ধীরে চুরি হয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে যানবাহনের কংকাল পড়ে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী মালখানা হচ্ছে দুটি। একটি আদালতের মালখানা অন্যটি থানার মালখানা। থানায়ও বেশীদিন রাখার নিয়ম নেই।

নগর গোয়েন্দা কার্যালয় জব্দ করা মালামাল রাখার কোন নিয়ম নেই। তাই সেখানে কোন মালখানাও নেই। তদারকি কর্মকর্তাও নেই। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কোন আসামি গ্রেপ্তার করলে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। কারণ গোয়েন্দা কার্যালয়ে মামলা করার কোন নিয়ম নেই। জব্দ করা মালামালও সংশ্লিষ্ট থানায় রাখার কথা। তা কিন্তু হচ্ছেনা। তদারকি না থাকার কারণে জব্দ করা যানাবাহনের যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে।##

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট