চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পেঁয়াজ কারসাজিতে ১৩ ব্যবসায়ী

ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা আমদানিকারকদের নিয়ন্ত্রণ দাবি আড়তদারদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

কারসাজির মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার অস্থির করার নেপথ্যে ১৩ জন আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা। বাজার অস্থির করার নেপথ্যে তাদের কারসাজি খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগনামা পাঠানো হবে। এছাড়াও ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিকারকদের বিরুদ্ধেও মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।

খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনাকালে আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টদের কারসাজি উঠে আসে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের অধিকাংশ আড়তে পেঁয়াজ সরবরাহ করেন রফিক, কায়সার ও এয়াকুব। তাদের বেঁধে দেওয়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আড়তদার। এমনকি চালান কপিতেও দাম লিখে দিয়েছেন আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্ট।
মেসার্স নিউ শাহ আমানত ট্রেডার্সের কর্মচারী মো. আবু তৈয়ব বলেন, আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টদের বেঁধে দেওয়া দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তারা। একই কথা বললেন অন্তত ১৫ জন আড়তদার।

জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে উঠে এসেছে- কক্সবাজারের আমদানিকারক ও খাতুনগঞ্জের কমিশন এজেন্টদের যোগসাজশে বাজার অস্থির হয়ে ওঠেছে। খাতুনগঞ্জের হাশেম ট্রেডার্স (মোহাম্মদ হাশেম), সৌমিক ট্রেডার্স, এশিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এম এইচ ট্রেডিং কোম্পানি, কাওসার ব্রাদার্স (মোহাম্মদ কাওসার আলী), এস আর ইন্টারন্যাশনাল, এ আর ইন্টারন্যাশনাল, রফিক সওদাগর, ইয়াকুব ব্রাদার্স। আরো রয়েছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানিকারক কক্সবাজারের টেকনাফের ছোটহাজি মার্কেটের এস এস ট্রেডিং, মাদ্রাসা রোডের এ আর এন্টারপ্রাইজ, কলেজপাড়ার মেসার্স কবির এন্ড সন্স, কুলালপাড়ার মেসার্স জাবেদ এন্টারপ্রাইজ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য হচ্ছে ৪২ টাকা। কিন্তু কারসাজির মাধ্যমে তা ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামে কোনো আমদানিকারক নেই। আড়তদাররা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। তাই আমদানিকারকদের দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়। তাদের ইচ্ছেমতো দরে পেঁয়াজ বিক্রি না করলে ওই আড়তদারের কাছে পেঁয়াজ পাঠাবে না আমদানিকারক।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘আড়তদারদের হাতে বাজার নির্ভর করে না। আমদানিকারকদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট